খুবি শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষে শিক্ষকসহ আহত তিন
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, খুলনাঃ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক সৈকত মন্ডল, কম্পিউটার সায়েন্সের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস কুমার মন্ডল ও রফিকুল ইসলাম মিলন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই ছাত্রকে পুলিশি তল্লাশির নামে হয়রানির অভিযোগে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি ছাত্রবিষয়ক পরিচালক তরিকুল ইসলাম জন্টু রাত দেড়টায় এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত।আমরা ছাত্রদের ফিরিয়ে এনেছি।তবে সামান্য বিষয়ে পুলিশের এমন আচরণ সভ্যতা বিরোধী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আহত ওই দুই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বাইরে গল্লামারির পিলখানা এলাকায় দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল।এসময় পুলিশ সদস্য তাদেরকে চলে যেতে বলেন। যেতে দেরি হওয়ায় তারা ছাত্রদের লাঞ্ছিত করেন। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে এসে গল্লামারী পুলিশ ফাঁড়ি লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক সৈকত মন্ডলসহ দুইজন ছাত্র আহত হন। পুলিশ এ সময় টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে গল্লামারী ব্রিজের ওপারে চলে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ প্রায় ৩/৪শ শিক্ষার্থী নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার গল্লামারীতে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এবং গল্লামারী পুলিশ বক্সে ভাঙচুর করেন। এরপর প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বলেন, দুইজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন ঠিক হয়ে গেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।