খাদ্য সংকটে সন্তোষপুরের ৩ শতাধিক বানর
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার একটি গ্রাম সন্তোষপুর।এ এলাকাটি বানরের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত। এখানকার প্রায় তিন শতাধিক বানর ক্ষুধার যন্ত্রণায় দিনাতিপাত করছে। ক্ষুধার জ্বালায় গাছের মগডালে কিংবা মাটিতে নেমে এসে বানরগুলো চেঁচামেচি করছে। আর দর্শনার্থীদের হাতে খাবার দেখলেই দল বেঁধে খাবারের জন্য লাফালাফি শুরু করে দিচ্ছে। যেন এদের দেখার কেউ নেই! দুরন্ত এসব বানর দেখতে নানা জায়গা থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা । তারা এখানকার বানরগুলোর জন্য মুড়ি, পাউরুটি, বিস্কুট ও বাদাম নিয়ে আসেন। তবে বানরের সংখ্যার তুলনায় দর্শনার্থীদের নিয়ে আসা খাদ্য পর্যাপ্ত নয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের সহানুভূতিতে বানরগুলো পঙ্গপালের মতো তাদের নিকট ছুটে আসে- যেন এ আগন্তুকরা ওদের অনেক দিনের চেনা। এছাড়া এখানকার স্থানীয় বনবিটের কর্মকর্তাদের দেওয়া খাবার খেয়ে কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছে প্রকৃতির এ অনন্য সম্পদ। বনবিটের দেওয়া খাবার এসব বানরদের জন্য মোটেও পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা। বনবিট অফিস রুমে গিয়ে দেখা গেছে, বিট কর্মকর্তার থাকার চৌকি, মাচার ও টেবিলের উপরে, চৌকির নিচে ক্ষুধার্ত এসব বানর খাবারের জন্য রীতিমতো সন্ধান চালাতে দেখা যায়। এ নিয়ে স্থানীয় বনবিট কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, অনেকে বেড়াতে এলে বানরগুলো খাবারের জন্য তাদের ঘিরে ফেলে। তখন আমরা বলি, ভয়ের কোনো কারণ নেই। ওরা আচড় ও কামড় দেবে না, ক্ষতি করবে না। প্রতি বছরই বানরের সংখ্যা বাড়ছে। বাচ্চা প্রসবের মাধ্যমে বছরে ১৫ থেকে ২০টি বানর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে বর্তমানে তিনশতাধিক বানর রয়েছে এ সন্তোষপুরে। তবে এসব বানরের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার যেন কেউ নেই। এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বনানী বিশ্বাস বলেন, বানরের খাদ্য সংকটে স্থায়ীভাবে বন বিভাগকে ফলজ গাছ লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে করে খাদ্য সংকট কেটে যাবে।