প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ২০১৪ সালের এইএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনা স্বীকার করে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, গতানুগতিক পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে আরো উন্নত পদ্ধতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গঠিত কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রচলিত আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষার মান উন্নয়নের বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবীদদের সঙ্গে সাড়ে চার ঘন্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে বর্তমান সময়ের প্রশ্ন পত্র ফাঁসের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনায় স্থান পায়।
বৈঠকে অধ্যাপক ড. সারঅহ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ও ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালসহ দেশে বিশিষ্ট ৪২জন শিক্ষাবীদ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ২০১৪ সালের এইএসসি পরীক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাসের ঘটনা স্বীকার করে বলেন, বর্তমান সরকারের বিগত ৫ বছরে কখনো প্রশ্ন পত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। ২০১৪ সালেই প্রথম ঘটেছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত বলে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে, তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা আজ গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ দিয়েছেন। এ বিষয়ে আরো উন্নত পদ্ধতি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে আমিও তাঁদের সম্মতি দিয়েছি। তবে তাঁদের জানিয়েছি, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির রিপোর্ট পেলেই তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে ।
তিনি আরো বলেন, গঠিত কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রচলিত আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে দেশে প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এ জন্য শিক্ষকদের আরো বেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। পুঁথিগত শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানবিক বেচনা বোধ সম্পন্ন শিক্ষার ও ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এ জন্য উদ্যোগ নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।
নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, দেশে বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষা বিষয়ে মন্ত্রণালকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি শিক্ষার মান নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী তাদের আশ্বস্থ করে বলেন, বর্তমানে জনবলের অভাব রয়েছে। এ কারণে সার্বক্ষনিকভাবে প্রইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তা পর্যায় ক্রমে নিশ্চিত করা হবে।