বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে শহরেই বেশি বরাদ্দ

HDRC এইচডিআরসিরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের (এইচডিআরসি) প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত বলেছেন, সংবিধানে বৈষম্য হ্রাসের কথা বলা হলেও বাজেটে বৈষম্য করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে পানি ও স্যানিটেশন খাতের বেশির ভাগ বরাদ্দ ছিল শহরকেন্দ্রিক। অন্যদিকে প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চল, যেমন: চর, হাওর, উপকূলীয় অঞ্চল ও পাহাড়ি এলাকায় নীতি নির্ধারকরা তেমন মনোযোগ দেয়নি। এ খাতে শহর ও গ্রামের বিনিয়োগ বৈষম্য ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে আগের অর্থবছরগুলোর তুলনায় কিছুটা কমে আসলেও তা এখনও সাম্যভিত্তিক নয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটের শহর ও গ্রামে বিনিযোগ অনুপাত ৮৪:১৬। এর আগের দুই বছরের অনুপাত ছিল যথাক্রমে ৮৩:১৭ ও ৮১:১৯। বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে পানি ও স্যানিটেশন খাতে বরাদ্দের বিশ্লেষণ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য আচরণবিধি খাত শীর্ষক এ মতবিনিময়ের আয়োজন করে ওয়াটারএইড। তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় বাজেটে পানি ও স্যানিটেশন খাতে ২০১০-১১ অর্থবছরে বিনিয়োগ মোট বাজেটের ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ থাকলেও বর্তমান অর্থবছরে তা কমে ১ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’ বারকাত বলেন, ‘২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সর্বমোট প্রকল্পের মধ্যে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কিত প্রকল্পের সংখ্যা মাত্র ৪৫টি।’ ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য আচরণবিধি খাতে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তার ৭০ দশমিক ২৩ শতাংশই ওয়াসার জন্য বরাদ্দ। এ প্রসঙ্গে আবুল বারকাত বলেন, ‘অতিরিক্ত বরাদ্দ রাখা এবং মোট বরাদ্দের ৭০ দশমিক ২৩ শতাংশই ওয়াসার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহলকে সুযোগ করে দিতে বাজেটে বরাদ্দের বৈষম্য রাখা হয়েছে। কারণ, ওয়াসার অধীনে আছেন দেশের মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ। আবুল বারকাত বলেন, একটি দেশ চলে ত্রিভুজ পদ্ধতিতে। এর বামে সরকার, ডানে রাজনীতি ও ওপরে থাকে রেন্ট সীকার। আর এই রেন্ট সীকাররাই স্বার্থান্বেষী মহল।’

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ