সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে

shekh sheikh hasina শেখ হাসিনা সংসদসিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সংসদের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) এ কে মাইদুল ইসলামের এ-সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ লক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্ট গার্ড কাজ করে যাচ্ছে। ভয়ংকর মাদক ইয়াবার পাচার রোধে গত বছরের ২০ অক্টোবর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নয়জন জনবল নিয়ে একটি অস্থায়ী সার্কেল অফিস স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ইয়াবাবিরোধী অভিযান জোরদার করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার সীমান্তে বিজিবির টহল, তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ানোর ফলে সেখানে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য আটক হয়েছে। টাস্কফোর্স সীমান্তের সন্দেহজনক বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যে কারণে মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ কমে এসেছে। কক্সবাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তল্লাশি চৌকিতে বিজিবির নেতৃত্বে প্রশিক্ষিত কুকুর দিয়ে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্ট মার্টিন ও শাহপরী দ্বীপে ইয়াবাবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকার সীমান্তের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ধরনের ফেনসিডিল কারখানা স্থাপন না করার নির্দেশ দিয়েছে। গত বছরের ১৪ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফের কাছে ফেনসিডিল তৈরির কারখানার তালিকা হস্তান্তর করে সেগুলো ধ্বংসের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাংসদ ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে সরকার ‘দলিত, হরিজন ও বেদে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করেছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ