তারেক সাঈদ আবারো ৪ দিনের রিমান্ডে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নারায়ণগঞ্জঃ আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনায় করা মামলায় নূরের বডিগার্ড জবানবন্দি দিয়েছেন এবং মামলায় র্যাব-১১ এর সাবেক সিইও লে. কর্নেল তারেক সাঈদের ৬ষ্ঠ দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাত খুনের মামলায় ৫ম দফা রিমান্ড শেষে শনিবার বিকেলে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তারেক সাঈদকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিনের আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডল। এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান রিমান্ডের পক্ষে এবং তারেক তার পক্ষে আদালতের কাছে যুক্তি তুলে ধরেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানী শেষে সর্বোচ্চ সতর্কতার সহিত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে তারেক সাঈদকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, এ মামলার মূলহোতা পলাতক নূর হোসেনের বডিগার্ড মোর্তুজা জামান চার্চিল আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুই মামলায় তার দীর্ঘ জবানবন্দি গ্রহণ করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কে এম মহিউদ্দিন। জানা গেছে, জবানবন্দিতে চার্চিল হত্যার পর যেভাবে লাশ নদীতে ফেলা হয় তার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি নূর হোসেনের প্রতিনিধি হিসেবে মেজর (অব.) আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছেন। সাতজনকে অপহরণ করার পর থেকে লাশ নদীতে ফেলা পর্যন্ত একাধিকবার আরিফ হোসেনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে বলে তিনি আদালতকে জানান। চার্চিল জবানবন্দিতে জানান, সাতজনকে অপহরণের পর পরই তিনি ঘটনাটি জানতে পেরেছেনে। রাতে কাঁচপুর ব্রিজের নিচে পাথর-বালুর ব্যবসাস্থল ফাঁকা করার মিশনে তিনি উপস্থিত ছিলেন। পরে গাড়ি থেকে তিনি নিজেও লাশ নামায়। লাশ নৌকায় তুলে শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়া পর্যন্ত তিনি নিজে ওই নৌকায় উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মেজর (অব.) আরিফ হোসেনের সঙ্গে তার কয়েকবার কথা হয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি শনিবার নারায়ণগঞ্জে র্যা বের দু’টি ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। এ সময় কমিটির সদস্যরা দু’টি ক্যাম্পের র্যা বের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ও ভেতরে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।