রমনা বটমূলে বোমা হামলার রায় সোমবার
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ টানা ১৪ বছর অপেক্ষা করার পর ঘোষিত হতে যাচ্ছে চাঞ্চল্যকর রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায়। সোমবার ১৬ জুন মামলার রায় ঘোষণার কথা। গত ২৮ মে মামলার বিচারক মো. রুহুল আমিন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন। রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার বিচারক গত এক সপ্তাহ ধরে রায় লেখা নিয়ে ব্যস্ত। এই পুরো সপ্তায় তিনি আদালতে এলেও এজলাসে কোনো বিচারিক কাজ করেননি। সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মো.জাহাঙ্গীর আলম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, রমনা বটমুলে বোমা হামলা মামলার রায় লেখা নিয়ে বিচারক ব্যস্ত, তাই এতো দিন আদালতে এলেও তিনি খাস কামরায় বসে মামলার রায় লিখেছেন। সোমবার রায় ঘোষণা করা হবে কিনা জানতে চাইলে ষ্ট্রপক্ষের পিপি জাহিদ হোসেন সরদার এবিসি নিউজ বিডিকে জানান, বিচারক বেশ কিছুদিন ধরে আদালতের অন্য কোনো কার্যক্রম না করে কেবল রমনা বটমূলে বোমা হামলার রায় লিখছেন। এত শ্রম দিচ্ছেন কেবল সোমবার যাতে রায় ঘোষণা করা যায় সেই জন্য। তাই আমরা আশা করছি সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। রায় ঘোষণার সম্ভবনা কতটুকু- এমন প্রশ্নের জবাবে মামলার অন্যতম আসামি মওলানা আব্দুর রউফের আইনজীবী ফারুক হোসেন এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, বিচারক চাইলে মামলার রায় কারণ দর্শিয়ে স্থগিত রাখতে পারেন। তবে এ মামলার রায় স্থগিত রাখার কোনো কারণ আপাতদৃষ্টিতে দেখছি না। এ মামলায় জামিন বাতিল হওয়া আসামি মাওলানা আকবর হোসেনসহ মুফতি আব্দুল হান্নান, আরিফ হোসেন সুমন, শাহাদাত হেসেন, মাওলানা সাব্বির, শেখ ফরিদ, মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা ইয়াহিয়া, মৌলানা আবু তাহের কারাগারে আটক আছে। এ মামলায় মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর ও মাওলানা আবু বকর এখনও পলাতক। এ হামলায় জড়িত ওমর ফারুক, জনি, চালক আবদুল হালিম, সুজন, আবদুল জব্বার, আবদুল্লাহ, জাকারিয়া, মাওলানা নূরউদ্দিন ওরফে নূর উল্লাহকে পুলিশ এখন পর্যন্ত চিহ্নিত করতে পারেনি। তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে। ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মঞ্চের কাছে ঘটানো হয় বোমা বিস্ফোরণ। এতে নিহত হন ৯ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। যাদের পরিচয় পাওয়া যায়, তারা হলেন আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ এমরান হোসেন, অসীম চন্দ্র সরকার, মামুন হোসেন ও তার চাচাতো ভাই রিয়াজুল ইসলাম ও বোন জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী (তাদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া), ইসমাইল হোসেন স্বপন ও আনসার আলী। ঘটনার দীর্ঘ ৮ বছর পর মামলার সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা আবু হেনা মো. ইউসুফ ২০০৮ সালে ৩০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।