মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি, এ মাসে আসছে আরো ৫০০ শ্রমিকের ভিসা
মোহাম্মাদ আল সাইফ, এবিসি নিউজ বিডিঃ ভিসা জটিলতার কারণে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি আটকে আছে। তবে চলতি মাসেই এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে বলে জানিয়েছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি ৫০০ শ্রমিকের ভিসাপাঠাবে মালয়েশিয়া সরকার।
বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শামছুন নাহার বলেন, জুনের মাঝামাঝি সময়ে ৩০০-৫০০ ভিসা পাঠাবে মালয়েশিয়া সরকার। এর পরই দেশটিতে শ্রমিক পাঠানো শুরু হবে। এভাবে প্রতি মাসেই ভিসা আসবে এবং শ্রমিক পাঠানো হবে।
পর্যায়ক্রমে প্রতি মাসেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর কথা। তবে ভিসা না আসায় এক মাস ধরে আটকে আছে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৯ হাজার ৮০০ শ্রমিকের মালয়েশিয়া পাঠানোর পুরো প্রক্রিয়াটি। সমস্যা সমাধানে বিএমইটির মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ২৭-৩১ মে মালয়েশিয়া সফর করে।
এ প্রসঙ্গে বেগম শামছুন নাহার জানান, জিটুজি পদ্ধতিতে শ্রমিক পাঠানোর অংশ হিসেবে গত মাসে মালয়েশিয়ায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি মাসেই এ ধরনেরদ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল প্রথম ফ্লাইটে মোট ৭০ জন কর্মী মালয়েশিয়া যান। এরপর ২৭ এপ্রিল দ্বিতীয় ফ্লাইটে ৭০ ও ২৯ এপ্রিল তৃতীয় ফ্লাইটে আরো ৫৮ জন কর্মী মালয়েশিয়া যান। উড়োজাহাজ ভাড়াসহ মালয়েশিয়া যেতে প্রত্যেক শ্রমিকের খরচ হয়েছে ৩৩ হাজার ১৭৮ টাকা।
প্রসঙ্গত, কৃষি শ্রমিক পাঠানোর প্রথম ধাপে সারা দেশ থেকে নিবন্ধনকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ১১ হাজার ৭৫৮ জন নির্বাচিত করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত ৪ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী বিএমইটির ৩৭টি ট্রেনিং সেন্টারে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত চূড়ান্তপ্রার্থীদের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই করা হয়। প্রাথমিক যাচাই-বাছাইয়ে উত্তীর্ণদের পরে বিএমইটির ৩৭টি ট্রেনিং সেন্টারে ১০ দিনের ‘ওরিয়েন্টেশন কোর্স’ করানো হয়।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া ২০০৯ সালের মার্চ থেকে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি বন্ধ করে দেয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর সরকারি পর্যায়ে শ্রমিক পাঠানোর ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাঁচ ক্যাটাগরিতে প্রায় ৫ লাখ শ্রমিক নেবে মালয়েশিয়া। যে পাঁচ ক্যাটাগরিতে মালয়েশিয়া শ্রমিক নেবে সেগুলো হলো— ম্যানুফ্যাকচারিং, নির্মাণ, কৃষি, সেবা ও প্লানটেশন খাত। প্রথম পর্যায়ে কৃষি খাতে ৫০ হাজার শ্রমিক নেয়ার আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক
কর্মরত আছেন।