নূর হোসেনকে প্রয়োজনে কোলকাতায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও সাত খুনের ঘটনায় নূর হোসেন ও তার সহযোগীদের প্রয়োজনে কোলকাতায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানান তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাজাহান আলী মোল্লা।
হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত প্রশাসনিক তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, আমরা নূর হোসেনকে দেশে ফিরিয়ে আনার অপেক্ষায় আছি। দেশে আনা হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে দেশে আসতে দেরি হলে প্রয়োজনে কোলকাতায় গিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
শাজাহান আলী মোল্লা জানান, ভারতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিতে হবে।
আগামী মাসের শুরুতে নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় তারা তাদের প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে পারবেন বলেও জানান তদন্ত কমিটির প্রধান।
নারয়ণগঞ্জের নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারসহ সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২৭ মে রেড ওয়ারেন্ট জারি করে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। ফ্রান্সভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি ২৭ মে বিকেলে তাদের ওয়ানটেড পারসনের রেড ওয়ারেন্ট পাতায় নূর হোসেনের নাম সংযুক্ত করে।
এর আগে রেড ওয়ারেন্টভূক্ত করতে গত ২২ মে পুলিশ সদর দফতরকে চিঠি দেয় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ প্রশাসন। পরে পুলিশ সদর দফতর রেড ওয়ারেন্টের জন্য ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়। নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে আছেন বলে নিশ্চিত হয়েছিল র্যাব।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন।
অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার পর অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দিলেও তিন দিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে ওঠার পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান নূর হোসেন।
নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা র্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে নজরুলসহ সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন বলে নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর তখনকার অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম এম রানাকে চাকরিচ্যুত করে অবসরে পাঠানো হয়।
এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা গ্রেফতার হন।