সন্ত্রাসী হীরাকে চাঁদা না দেয়ায় বাস ভাংচুর, থানায় মামলা নেয়নি
আব্দুল হাই তুহিন, স্টাফ রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ডাকাত শহীদের সহযোগী হীরাকে চাঁদা না দেয়ায় বাহাদুর শাহ পরিবহনের ১৫ টি বাস ভাংচুর করা হয়েছে। একই সাথে গাড়ীর ড্রাইভার ও হেলপারদের ব্যাপক মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার রাত ৮ টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে মালিক সমিতির লোকজন থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নেয়নি। থানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হীরার মা ও বাবার নাম সহ পুরো ঠিকানা লাগবে অন্যথায় মামলা করা যাবে না। এদিকে মামলা না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মালিক সমিতির নের্তৃবৃন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহ আগে দয়াগজ্ঞের মোড়ে হীরা তার সহযোগীদের নিয়ে বাহাদুর শাহ পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকিয়ে রাখে এবং এসময় তারা নিজেদেরকে ডাকাত শহীদের লোক পরিচয় দিয়ে তাদের মোবাইল নম্বর দিয়ে চাঁদা দেয়ার জন্য তাদেরকে যোগাযোগ করতে বলে। অন্যথায় এ রোডে গাড়ী চালানো যাবে না বলে হুশিয়ার করে দেন। পরে মালিক সমিতির লোকজন হীরার সাথে কথা বলেন। হীরা প্রতি মাসে তাকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দেয়ার কথা বলে হুমকী দিয়ে যান এবং ৩ দিন সময় দিয়ে যান। অন্যথায় এ রোডে গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাহাদুর শাহ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম তালুকদার এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন , হীরা সে নিজেকে ডাকাত শহীদের লোক এবং যুবলীগের গেন্ডারিয়া থানা সভাপতি পরিচয় দিয়ে মাসে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এবং আমাদেরকে ৩ দিনের আলটিমেটাম দেন। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি সে যুবলীগের কোন কমিটিতে নেই। পরে তিনি বলেন আগামী কমিটিতে গেন্ডারিয়া থানার যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী। গতকাল ছিলো আল্টিমেটামের শেষদিন। তাকে চাঁদা না দেয়ায় রাত ৮ টার দিকে প্রায় ১৫ -২০টি গাড়ী ভাংচুর করে। এদিকে গাড়ী ভাংচুের কমপক্ষে ৫০ হাজার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন সমিতির সভাপতি।
অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসী হীরার অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকার স্থানীয় লোকজন। ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না। এ প্রসঙ্গে গেন্ডারিয়া থানার ঘটনা তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবীর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবিসি নিউজক বিডিকে জানান, কয়েকটি গাড়ী ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। উল্লেখ্য, বাহাদুর শাহ পরিবহন চলাচল করে সদরঘাট টু ডেমরা রুটে।