বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বৈধতার রায়ের রিট খারিজ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মির্জা হোসাইন হায়দার ও বিচারপতি খুরশিদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় দেন। গত ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার আবদুস সালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিধানের বৈধতা নিয়ে একটি রিট করেন। ওই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সংসদীয় আসনে একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা নিয়ে মতামত জানতে সাতজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) বক্তব্য নিয়েছেন আদালত। অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ এবং নাগরিক সংগঠন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। তবে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আদালতে কোনো বক্তব্য উপস্থাপন করেননি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের নিয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের দেয়া বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা অনুসারে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর বা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর একক প্রার্থী থাকলে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়। এক্ষেত্রে ‘না’ ভোটের কোনো বিধান রাখা হয়নি। অথচ সংবিধান স্পষ্ট বলছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে সংসদ গঠিত হবে। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ ছাড়া কাউকে নির্বাচিত ঘোষণা করা সংবিধানের পরিপন্থী। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ ধারা সংবিধানের ৭, ১১, ২৭, ৩১, ৬৫ (২), ১২১ ও ১২২ (২) অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সেই ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এই সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হইবে।’ উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৪ আসনে এককপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।