শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গীমুক্ত: সিরাজগঞ্জে নাসিম
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডিঃ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গীমুক্ত হয়েছে। শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে নেয়া সকল পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যথেষ্ট প্রশংসা অর্জন করেছে। এতে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জল হয়েছে। ২০০১ সনে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ক্ষমতা দখলের পর বেগম খালেদা জিয়া দেশকে সন্ত্রাসের ও নৈরাজ্যের অভয়ারন্যে পরিনত করেছিলেন। তার ও তার দুর্নীতিবাজ ছেলের হাওয়া ভবনের মদদে একযোগে ৬৩ জেলায় বোমা বিস্ফোরন ও শায়খ রহমান, বাংলা ভাইদের মত সন্ত্রাসী জঙ্গীদের উথ্থান হয়েছিল। শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর খৃনিদের সাজা কার্যকর ও জেলে জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার সুবিচার নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছেন। এতে বিরোধী দলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা জামায়াত-শিবির, হেফাজতিদের উষ্কানি দিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের যে দিবাস্বপ্ন দেখেছিলেন তা দেশবাসী নস্যাৎ করে দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনগনের ম্যান্ডেট ছাড়া ক্ষমতার পালা বদলের কোন সুযোগ নেই। অনেক চেষ্টা করেও সরকারের ক্ষতিসাধন করতে না পেরে এখন সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিএনপি শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে। এজন্য তিনি তাদেরকে অভিনন্দন জানান। তাদের এ শুভবুদ্ধি গনতন্ত্রকে যাতে সুসংহত করে, সেজন্য সচেষ্ট থাকার জন্য তিনি বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। শুধু সদস্য পদ রক্ষার জন্য নয়, সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়ে বিএনপি তাদের সব দাবি দাওয়া আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। গনতন্ত্রে জাতীয় সংসদের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বিএনপি যাতে কোন অজুহাতে আবার সংসদ থেকে চলে যাবার পুরানো খেলায় না মেতে ওঠে তার অনুরোধ জানান।
বিগত প্রায় সাড়ে চার বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু কন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে ব্যাপক জনকল্যানমূলক কাজ করেছে। বিশ্বের গনতান্ত্রিক দেশসমূহে যেভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, আগামিতে বাংলাদেশেও অন্তবর্তীকালিন সরকারের অধীনে সেভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোন অনির্বাচিত মহলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবেনা। অন্তবর্তী সরকারের অধীনে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জনগন যাদেরকে ম্যান্ডেট দেবেন, পরবর্তী সরকার তারাই গঠন করবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সচেষ্ট রয়েছেন। তিনি গনতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সুসংহত করে দেশের উন্নয়নকাজে শরীক হবার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মাহাম্মদ নাসিম গতকাল বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতি মিলনায়তনে অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে আইনজীবিদের সঙ্গে এক মত বিমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুল মজিদ মন্ডল, আব্দুর রউফ পান্না, সুকুমার দাস, গোলাম হায়দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সিরাজগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ২ মহল্লা বাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ২০ জন আহত: বাড়ী ঘর ও দোকান ভাংচুর: তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গয়লা শ্বশান ঘাট এলাকা ও একডালা বাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। গুরুতরদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে ৬টি বাড়ী ও দোকান ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পুর্নবাসন এলাকায় একটি হোটেলের ভিতর গয়লা শ্বশান ঘাট এলাকার ওয়াহাব ড্রাইভারের ছেলে সাগর (১২) সিগারেট খায়। এসময় সেখানে থাকা একডালা গ্রামের মতি শেখের ছেলে সাদ্দাম ও রসুল মাঝির ছেলে হালিম তাকে সিরাগরেট খেতে নিষেধ করে। তাতে সাগর সিগারেট খাওয়া বন্ধ না করলে আবার তাকে কিল-ঘুষি দেয়। পরে সাগর লোকজন নিয়ে ঘাটে বসে থাকা সাদ্দাম ও হালিমের উপর হামলা চালিয়ে তাদের মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্র“পের মধ্যে রাতেই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনারই জের ধরে উভয় গ্র“পের লোকজনরা বুধবার বিকেলে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং তা দুই মহল্লার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। সংঘর্ষে লাঠি সোটা ও ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় মহল্লার অন্তত ২০জন আহত হয় এবং ৬টি দোকান ও বাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও র্যাব গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে পুনরায় সংঘর্ষের আশংকায় উক্ত এলাকায় পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।