কৃতকর্মে নিরাপদ ছিলেন না কারাগারেও
সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তাদের কৃত কর্মের জন্য কখনো কখনো অনুতপ্ত হন। অনুসূচনা জাগ্রত করে বিবেককে। অপরাধীরাও নৃশংসতাকে ঘৃনা করেন। ধিক্কার দেন অপরাধীকে। এটা চলচ্চিত্রের পান্ডুলিপিতে সিমাবদ্ধ থাকেনি। নিজ পেশাকে নিন্দিত করা তিন সাবেক র্যাব কর্মকর্তার কৃত-কর্মেও প্রতিফলিত হয়েছে।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী র্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ, আরিফুল ইসলাম ও এম.এম রানা’র স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দি দেওয়ার পর নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগরে প্রেরণ করা হলেও তারা এই কারাগারে ২৪ ঘন্টাও থাকতে পারেননি। নানা অপরাধে এই কারাগারে আটক থাকা অপরাধীরাও তাদের প্রতি ছুড়েছেন ঘৃনা ও ধিক্কার। আর সে কারণেই বাধ্যতামূল অবসরে পাঠানো মেজর আরিফ ও লে. কমান্ডার রানার মত লে, কর্নেল তারেক সাঈদকেও আজ বৃহস্পতিবার পাঠানো হলো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। কারা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মিরপুরের শাহাদত, কচুখেতের কালা জাহাঙ্গীর, মগবাজারের সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদসহ ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতমরা যে বাহিনীর তৎপরতায় আজ দেশছাড়া, যাদের আন্তরিকতায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, ভয়ংকর সন্ত্রীদের ক্রস ফায়ারকে সমর্থন যোগানো সাধারণ মানুষের আস্থার র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাবকে সাবেক এই তিন কর্মকর্তা নিন্দিতই করেননি, করেছেন ঘৃনীতও। আর তাইতো ৭ খুনের ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পরও কারাগারে কেউই তাদের প্রতি ছিল না সহানুভুতিশীল। আটক অপরাধীদের ক্ষোভের আগুনেও পুড়ছিলেন তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম.এম রানা। কৃত-কর্মে নিরাপদ ছিলেন না কারাগারেও।
‘র্যাব সদর দপ্তর’কে অন্ধকারে রেখে র্যাব-১১’র সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ, আরিফ হোসেন ও এম.এম রানা শুধু ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ ৭ জনকে অপহরণের পর হত্যা করেননি, নারায়নগঞ্জস্থ সিদ্বিরগঞ্জের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনকে ২ কোটি টাকা না দেওয়ায় গুম করার অভিযোগ করেছেন ইসমাইলের স্বজনরা। এছাড়া লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, লাকসাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জে রয়েছে ‘কন্ট্রক্ট কিলিং’এর। এসবের তদন্তের দাবি উঠেছে ক্রস ফায়ারও গুম হওয়া অসহায় পরিবারে পক্ষ থেকে। র্যাব সদর এসবের তদন্ত করবেন এম প্রত্যাশা তাদের। র্যাবকে সাধারণদের আস্থায় ফেরাতে এমন সব অভিযোগের তদন্ত জরুরী বলেও মনে করছেন তারা।