দখল করলেই জমির মালিক
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ জল ও পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ম. ইনামুল হক বলেছেন, দেশে এখনো ব্রিটিশদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত বহাল রয়েছে। এখানে দখলদারই জমিদার। লিজ দিয়ে দেশের খাসজমি, জলাভূমি, খাল-বিল ও নদী-নালা বিপন্ন করা হচ্ছে। যিনি একবার লিজ পাচ্ছেন- তিনি আর সেটা ছাড়ছেন না। এ যেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক এ মহাপরিচালক বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘নদী দখল, দূষণরোধ ও জলাভূমি রক্ষা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার সাদত। বিশিষ্ট পানি প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, হাওর-বাওড়, খাল-বিল উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এসব লিজ দেয়া যাবে না। ডেপুটি কমিশনারের এসব লিজ দেয়ার ক্ষমতা বন্ধ করে দিতে হবে। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশানার থেকে ওই এলাকায় শিল্প স্থাপনায় অনুমতি নেয়ার বিধান চালু করতে হবে। ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না। ওইসব এলাকার জনগণ তাদের লাভ-ক্ষতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে সেখানে শিল্প-কারখানা স্থাপন করা যাবে কিনা। তাদের সম্মতি পেলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনার অনুমতি প্রদান করবেন। ইনামুল বলেন, গ্যাস ও বিদ্যু বিল তৈরিকারী কর্মকর্তাদের যেমন ঘুষ দিয়ে শিল্প-কারখানার মালিকরা বিল কমিয়ে নেন। তেমনি পরিবেশ পরিদর্শক কর্মকর্তাদেরও ম্যানেজ করে দূষণের দায়ে জরিমানার পরিমাণ কমিয়ে নেন তারা। কিংবা জরিমানাই করা হয় না। সিএস ম্যাপ অনুযায়ী হাওর-বাওড়, খাল-বিল ও নদী তীরবর্তী দেশের খাসজমিগুলোতে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সেগুলো মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য তিনি সরকারের কাছে আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের সভাপতি আনোয়ার সাদত বলেন, ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘোষণার বাস্তবায়ন দেখতে যাই। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শিগগির নদীর পানি শোধন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এখনো কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি।