ট্রাফিককে ছাত্রলীগের মারধর
মনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগকে বহনকারী মাইক্রোবাস ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করতেই পারেন, এজন্য ট্রাফিক কনস্টেবল, সার্জেন্ট বা ট্রাফিক বিভাগকে জবাবদিহি করতে হবে? না এমনটা মনে করেন না ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। আর তাইতো ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির গাড়ি আটকানোর অপরাধে কিল-ঘুষি খেতে হলো ট্রাফিক কনস্টেবল মামুনকে। রাজধানীর পল্টনের ব্যাস্ততম সড়কে শুক্রবার বিকেলে এ দৃশ্য দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছেন শত শত মানুষ। দাঁড়িয়ে থাকা কেউ কেউ রেফারির ভূমিকায় এগিয়ে এসেও হামলাকারীদের পরিচয় জেনে সরে গেছেন নিরবে-নিভৃতে। বিকেলেই বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় সৃষ্টি হয় সারা দেশে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মাঝেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। শুক্রবার রাতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (দক্ষিণ) উপ-কমিশনার খান মুহাম্মদ রেজওয়ান এ বিষয়ে পল্টন থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানালেও শেষ পর্যন্ত মামলাতো দূরের কথা, সাধারণ ডায়েরি এমনকি কোনো অভিযোগও নেয়া হয়নি। রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে অসহায় মামুনকে ফিরতে হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ ব্যারাকে। কেউ দেখতেও আসেননি। সহানুভুতিও জানাননি। ছুটেও আসেননি কোনো পুলিশ কর্মকর্তাও। এ বিষয়ে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, পল্টন এলাকায় ট্রফিককে মারধরের ঘটনায় কোনো মামলা বা সাধারণ ডায়েরি হয়নি। এমন কোনো অভিযোগ প্রক্রিয়াধীনও নেই বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল চারটায় পল্টন মোড়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে বহনকারী একটি মাইক্রোবাস ট্রাফিক সিগন্যাল অমান্য করলে দায়িত্বরত ট্রাফিক কনস্টেবল মামুন মাইক্রোবাসটি আটকান। এই অপরাধে মাইক্রোবাসের পেছনে থাকা সভাপতির সঙ্গীরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে মামুনকে মারধর করেন।