পাবনায় ২ টি বিদেশী পিস্তল গুলিসহ দুই যুবক আটক
রেল গেট এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে পুলিশ অস্ত্র ও গুলিসহ দুই যুবককে আটক করেছে। আটক শাহীন (২৫) উপজেলার পাকশী বাজার এলাকার মাহবুবুর রহমানের ছেলে এবং সজল পার্শ্ববতী কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ দক্ষিণপাড়া গ্রামের আজির উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে গোপন সূত্রে খবর আসে যে ঈশ্বরদী থানার একটি অপহরন মামলার আসামী শাহীন রেল গেট এলাকায় ঘোরা ফেরা করছেন। এ সংবাদের ভিত্তীতে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহিনকে আটক করে। এ সময় পুলিশ তার দেহ তল্লাশী করে একটি পিস্তল পায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন জানান তার সাথে সজল নামের অপর এক ব্যাক্তি আছে। পরে শাহিনের ফোন থেকে সজলকে ডেকে এনা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। ঈশ্বরদী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার শাহ নূর আলম পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পাবনার ৫ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাচাইকৃত তথ্য কেন্দ্রে না পৌছানোয় হতাশ শিক্ষকেরা: জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের গড়িমসিতে সদ্য সরকারী ঘোষনা হওয়া পাবনার ৯ টি উপজেলার ৫ শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাচাইকৃত তথ্য নিরর্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে না পৌছানোর কারনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে জেলার প্রায় ২ হাজার ২’শ শিক্ষকের মনে।
জানাযায়, গত ১৭ জানুয়ারী মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ভারপ্রাপ্ত সচিব এমএম নেয়াজ উদ্দিন উপজেলা,জেলা ও কেন্দ্রিয় পর্যায়ে যাচাই-বাছাই কমিটি নির্ধারণ করেদেন। উপজেলা কমিটি ১ মাসের মধ্যে জেলায় প্রদান করবে এবং জেলা কমিটি ১৫ দিনের মধ্যে কেন্দ্রে প্রেরণ করবেন। জেলা শিক্ষা অফিস ২৫ ফেব্রুয়ারী মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষ করলেও অজ্ঞাত কারনে পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার একরামুল হক অধ্যবধি যাচাই-বাছাইয়ের তথ্য কেন্দ্রে প্রেরণ করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাবনা সদর উপজেলার একজন প্রাথমিক শিক্ষক নেতা জানান,দেশের সকল জেলার তথ্য কেন্দ্রে পৌঁছে গেলেও একমাত্র পাবনা জেলার কোন তথ্য এখনও পৌছায়নি। তিনি আরও জানান,জেলায় এমপিওভুক্ত ৪শ’৫৭টি ও নন-এমপিও ভুক্ত প্রায় ১শ’টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার ২’শ শিক্ষক মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদিকে প্রায় ২ মাস যাবত শিক্ষদের বেতন-ভাতা না পাওয়ায় শিক্ষদের ধার দেনা করে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। জেলার আরেকজন শিক্ষক নেতা জানান,মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আদেশের পরেও কেন এত গড়িমসি করছেন কর্তৃপক্ষ তা ভাবার বিষয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার একরামুল হকের এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়ে অতিশত্বর কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।