মেসি বাঁচালেন আর্জেন্টিনাকে
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ৬০ বছর আগের ২১ জুন বিশ্বকাপে একমাত্র জয়টি পেয়েছিল ইরান। হারিয়েছিল চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রকে। ৬০ বছর পর সেই ২১ জুন বিশ্বকাপে আরেকটি রুপকথার সাফল্য পেতে যাচ্ছিল তারা। ৯০ মিনিট পর্যন্ত আর্জেন্টিনাকে গোল পেতে দেয়নি ইরান। কিন্তু আর্জেন্টিনায় যে রয়েছেন সময়ের সেরা খেলোয়াড় মেসি। তাকে আর ঠেকাতে পারলেন না ইরানের ডিফেন্ডাররা। ইনজুরি টাইমে ডি বক্সের বাইর থেকে নেয়া দূর্দান্ত শটে বল জালে জড়িয়ে দেন খুদে জাদুকর। মেসির গোলেই শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। মেসি, হিগুয়াইন, আগুয়েরো, ডি মারিয়া-এই ফ্যাবফোর নিয়েও ইরানের জালে প্রথম ৯০ মিনিট বল পাঠাতে না পারাটা ব্যর্থতাই আর্জেন্টিনার জন্য। বরং কাউন্টার অ্যাটাক থেকে অন্তত তিনটি গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল ইরান। আর্জেন্টিনার কপাল ভালো, গোলরক্ষক রোমেরা ত্রাতা হয়ে তিনবারই বাঁচিয়েছেন দলকে। এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া নিশ্চিত করলো আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনাকে রুখতে অলৌকিক কিছু্ কামনা করেছিলেন আবার ইরান কোচ। দুদলের শক্তির ব্যবধান এতই বেশি যে দৈব শক্তি ছাড়া আর্জেন্টিনাকে আটকানো কঠিন ইরানের। বিরতির আগে ৭৬ শতাংশ বলের দখল নিয়েও মেসিদের গোল না পাওয়াটাকে কি বলবেন? এমনকি ৯০ মিনিট পর্যন্ত গোল না খাওয়াকে? অলৌকিকতা নাকি ইরানের ডিফেন্সের কৃতিত্ব। নেপথ্যে যাই থাকুক, বাস্তবতা হচ্ছে কপালগুণেই ইরানকে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। ১১ মিনিটে গাগোর পাস থেকে হিগুয়াইন পাসে ফাঁকায় বল পেলেও সেটা ব্লক করেন ইরানি গোলরক্ষক আলিরেজা। ২১ মিনিটে হিগুয়াইনের পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেননি আগুয়েরো। দারুণ দক্ষতায় সেটা ঠেকান আলিরেজা। ব্রাজিলের বিপক্ষে যেমন একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে গর্ডন ব্যাঙ্কসকে স্মরণ করিয়েছেন মেক্সিকোর ওচোয়া তেমনি আলিরেজাও কররছন অতিমানবীয় গোলকিপিং। ৩১ মিনিটে বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রিকিক মিস করেন মেসি। ৩৮ মিনিটে মেসির পাস বার উঁচিয়ে মারেন ডি মারিয়া। প্রথমার্ধে তাই হতাশাই সঙ্গী আর্জেন্টিনার। ফর্মেশন নিয়ে মেসি ও কোচ সাবেলার মধ্যে চলছিল টেনশনের চোরাস্রোত। সেটা দূর হয়েছে ম্যাচের আগে। মেসির প্রিয় ছকেই খেলছে আর্জেন্টিনা। তারপরও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ইনজুরি টাইম পর্যন্ত। বিরতির পর কাউন্টার অ্যাটাকে গোলের সহজ তিনটি সুযোগ পেয়েছিল ইরান। ৫২ মিনিটে আলি রেজার হেডার কোন রকমে ঠেকান রোমেরো। ৬৯ মিনিটে আশকানের হেডও ঠেকান তিনি। গোল না পাওয়ায় তখনই মনে হয়েছিল দূর্ভাগ্য আজ পিছিু নিয়েছে ইরানের। সেই দুর্ভাগ্যেই হয়ত ইনজুরি টাইমে মেসির গোলে হারল তারা। আর মেসি হয়ে গেলেন আর্জেন্টিনার নয়নের মনি।