ঈদের পর সরকার হটানোর আন্দোলন: খালেদা জিয়া

khaleda Zia Joypurhatরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, জয়পুরহাটঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘জয়পুরহাটের মানুষ অত্যন্ত সাহসী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে আপনারা যেভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, তা দেখে আমার সাহস বেড়ে গেছে। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে ঈদের পর জোরোসোরে আন্দোলন করে অত্যাচারী খুনী লুটেরা সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে। রোববার বিকেলে জয়পুরহাটের রামদেও সরকারি বাজলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় তিনি একথা বলেন। দিনভর বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ জনসভায় অংশ নেয়। খালেদা জিয়া বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫ শতাংশ মানুষও ভোট দেয়নি। তাহলে তারা কি করে নিজেদের জনপ্রতিনিধি দাবি করে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। তাই আমরা এই নির্বাচনে কাউকে অংশ নিতে নিষেধ করেছিলাম। সেজন্য কেউ নির্বাচন করেনি। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেয়নি। তাই আমরাই ৯৫ ভাগ মানুষের প্রতিনিধি। আমি সরকারেও নেই বিরোধীদলেও নেই। কিন্তু আমি জনগণের প্রতিনিধি।’ সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে বলেছি। কিন্তু তারা ভোট দিতে চায় না। আমরা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করি সেজন্য আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জানে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে তাদের করুণ পরিণতি হবে সেজন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে তারা ভয় পায়। কিন্তু আমরা বলেছি আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটা দুর্নীতিবাজ সরকার। পত্রিকায় বের হয়েছে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি টাকা জমা হয়েছে। পদ্মাসেতু, কুইক রেন্টাল, শেয়ার বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা চুরি করে সুইস ব্যাংকে রেখেছে। আমরা বলেছি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বের করতে হবে। সুইস ব্যাংকে কাদের টাকা।’ এসময় দুদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দুদক কি করছে। তারা কি একচোখা। শুধু একদিকের দুর্নীতি দেখতে পায়।’ আওয়ামী লীগ সরকার ৩১০জন লোককে হত্যা ও গুম করেছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের সময় র্যা ব গঠন করা হয়েছিল জঙ্গী সন্ত্রাসী দমনের জন্য। কিন্তু এই সরকার র্যা বকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করে তাদের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। এই র্যা বকে দিয়ে মানুষ খুন করা হয়েছে। সেজন্য আর র্যা বকে রাখা যাবে না।’ জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য লে.জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, যুগ্ম-মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ