মিল্ক ভিটার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন

dudokরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মিল্ক ভিটার কর্মকর্তার বিরদ্ধে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলার চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন সভায় চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকরী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা) এর তত্ত্বাবধায়ক মো. খায়রুল ইসলাম আলমাজি সরকারি এই প্রতিষ্ঠানের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাত করে। এতে করে তিনি দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারায় অপরাধ করেছে। ফলে এ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এর আগে এ সংক্রান্ত একটি মামলা ২০১২ সালের ২২ এপ্রিল রাজধানীর রূপনগর থানায় (মামলা নং-১৩) দায়ের করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ তদন্ত শেষে মিল্ক ভিটার তত্ত্বাবধায়ক মো. খায়রুল ইসলাম আলমাজি এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে ৪২ লাখ ৬৩ হাজার ৫১৭ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। বিপুল পরিমাণ এ টাকা মিল্ক ভিটার ঢাকা ডায়েরি প্লান্ট (ডিডিপি) এর আওতাধীন মিরপুর বিক্রয় কেন্দ্রে ইনচার্জ থাকাকালে ২০০৯ সালের ১৫ জুন থেকে ২০১১ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আত্মসাত করেছে বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এ সময়ে ওই কর্মকর্তা ৬ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করে। এসব টাকার মধ্যে তিনি ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা মিরপুর শিল্প এলাকা সোনালী ব্যাংক শাখায় মিল্ক ভিটা পরিচালিত কারেন্ট অ্যাকাউন্টে জমা করেন। এছাড়া বাকি টাকা ক্ষমতার অপব্যহার করে বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে আত্মসাত করেছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। শুধু তাই নয়, অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ বিনষ্ট করতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে রেকর্ডপত্র ঘষামাজা করেছে তত্ত্বাবধায়ক মো. খায়রুল ইসলাম আলমাজি। এ কারণে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭ (ক) সহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। এসব ধারায় তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়ার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া মিল্ক ভিটার ব্যবস্থাপক মো. সাইদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) মো. মহিউদ্দিন মিয়া, উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিপণন) আবু মো. শরীফুল ইসলাম, বিদ্যুৎ কুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনের গাফিলতির কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মিল্ক ভিটার একাধিক দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। প্রাথমিকভাবে একজনের অর্থ আত্মসাতের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গে মিল্ক ভিটা’র অন্যান্য দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চলছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ