সংলাপের প্রশ্নই আসে না: শেখ সেলিম
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সহিংসতাকারীদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে চান। তাহলে সংলাপ কিসের? ২০১৯ সালের আগে কোনো নির্বাচন হবে না। আর সংলাপের তো প্রশ্নই আসে না।’
আজ সোমবার আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে গণর্যালিপূর্বক সমাবেশে সেলিম এই মন্তব্য করেন। সমাবেশ উপলক্ষে সেখানে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সমাবেশ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের উদ্দেশে গণর্যালি শুরু হয়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘গতকাল খালেদা জিয়া বলেছেন আলোচনায় না বসলে তিনি আন্দোলন করবেন। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা আপনাকে বলেছিলেন, আসেন আলোচনা করি। কিন্তু খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, অপমান করেছেন। ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলেন।’
নির্বাচনের জন্য আলোচনা চেয়ে বিদেশিদের কাছে খালেদা জিয়া ধরনা দিচ্ছেন, হুমকি দিচ্ছেন প্রশ্ন রেখে শেখ সেলিম বলেন, ‘আপনি সাড়ে পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগের পতন ঘটাতে গিয়ে নিজেদেরই পতন ঘটিয়ে ফেলেছেন। এবার আন্দোলন করতে চাইলে বিএনপি নামের কোনো দলেরই অস্তিত্ব থাকবে না।’
শেখ ফজলুল করিম সেলিম খালেদা জিয়াকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘এবার আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে আপনার খবর আছে। এই দেখেন লাখ লাখ মানুষ এখানে উপস্থিত। নাশকতার চেষ্টা করলে তাঁরা আপনার বিষদাঁত ভেঙে দেবে।’
দলের মধ্যে কেউ যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। একই সঙ্গে বিরোধী দলের নাশকতা ঠেকাতে প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানায় কর্মীদের সংগঠিত হতে তিনি আহ্বান জানান।
সমাবেশ মঞ্চে আরও উপস্থিত ছিলেন মোশাররফ হোসেন, সাহারা খাতুন প্রমুখ।
স্থবির রাজধানী
আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার কারণে আজ দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো যানজটে স্থবির হয়ে পড়ে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বর্ণিল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় ফার্মগেট থেকে শাহবাগ-মত্স্য ভবন হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো বিকল্প পথে চলাচল করলেও যানজটের প্রভাব পুরো ঢাকাতেই ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া যানজটের সঙ্গে বৃষ্টি যোগ হওয়ায় যাত্রীদের, বিশেষ করে অফিসফেরত যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়।