ট্রানজিট হিসেবে স্থলপথও ব্যবহার করছে ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ত্রিপুরায় খাদ্যশস্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট হিসেবে বাংলাদেশের স্থলপথ ব্যবহার করতে যাচ্ছে ভারত। এছাড়া জলপথের সাগর এবং নদী উভয়পথ ব্যবহার করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ত্রিপুরায় প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে দ্যা ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই)। অক্টোবর মাস থেকে গোহাটি-আগরতলার মধ্যে একমাত্র রেললাইন বন্ধ থাকার সময় বাংলাদেশের স্থলপথ ও নৌপথকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবে ভারত। তীব্র মৌসূমী বৃষ্টির কারণে এ সময়ে রেলপথ বন্ধ থাকে। এছাড়া সেখানে ওই সময় মেগাপ্রকল্পের কাজ চলবে। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ত্রিপুরায় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ১০ হাজার টন গম ও চাল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে এফসিআই। এতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। যদি ফলাফল ভালো হয় তবে নিয়মিত বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে নিয়মিত মালামাল পরিবহন করবে ভারত। ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের ফুড ও সিভিল সাপ্লাই এর পরিচালক ও বিশেষ সচিব সুমিত্র বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এরই মধ্যে এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছে। এতে ভালো ফলাফল পাওয়া গেলে ২০১৫ সালের মার্চ পর্যন্ত এভাবে পরিবহন নিয়মিত চলবে। সুমিত্র বলেছেন, অন্ধ্র প্রদেশ থেকে সমুদ্র পথে ব্রাক্ষ্ণণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ বন্দরে আসবে খাদ্যদ্রব্যগুলো। সেখান থেকে ট্রাকে করে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় যাবে। সুমিত্র বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার এ জন্য ট্রাক ঠিক করে দিয়েছে। যদিও ত্রিপুরার ট্রাকের তুলনায় বাংলাদেশেরগুলো অনেক বড়। ত্রিপুরায় ১২-১৫ টনের ট্রাক চলে। তাদের রাস্তাও সে উপযোগী। অন্যদিকে বাংলাদেশের ট্রাকসমূহ ২৫-৩০ টনের। ২০১২ সালে আশুগঞ্জ বন্দর দিয়ে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে বিদ্যুতকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রপাতি পিরবহন করে ভারত। ত্রিপুরায় বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের জন্য সেগুলো পরিবহনের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ।