বাজেট প্রতিক্রিয়ায় মিশ্র মতামত দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের
বাজেট প্রকাশের পর মিশ্র মতামত দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।বাজেট সম্পর্কে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়েশা ফারহানা বলেন-“ এ বাজেটের সবচেয়ে দুর্বল দিক হলো- অর্থমন্ত্রী ব্যয় নির্দিষ্ট করে আয় দিয়ে সেটি সমাধানের চেষ্টা করেছেন। অথচ সঠিক পদ্ধতি হচ্ছে আয় অনুযায়ী ব্যয় করা। নির্বাচনী বছর হিসেবে সরকার বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চেয়েছে। সেই ধরনের প্রকল্পে বরাদ্দও রাখা হয়েছে বেশি। এ কারণে বাজেটের আকার বেড়েছে। কিন্তু আয়ের খাত খুব বেশি বাস্তবসম্মত না হওয়াতে এ বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে”।
বাজেট সম্পর্কে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিখিল বণিক তার মতামতে বলেন-“আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। এটি ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রাক্কলনকে অনুসরণ করে করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় প্রবৃদ্ধি কোনো দিন অর্জিত হয়নি এবং একটি উৎক্রমণকালীন অর্থবছরে তা অর্জিত হবে, সেটি একটি চরম উচ্চাশা, বিশেষ করে যখন তার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ দৃশ্যমান নয়।”
লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাজেদুল হক মোরশেদ বলেন-“ “বর্তমানে দেশে যে বিষয়টি সবচেয়ে আলোচিত, তা হলো শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কর্ম পরিবেশের বিষয়টি। কিন্তু, বাজেটে এ বিষয়ে কোনো বরাদ্দ না রাখার বিষয়টি হতাশাজনক।”
তবে বাজেটেকে বাস্তব এবং আধুনিক বলেই মানেন ঢাবির ছাত্র নেওয়াজ খন্দকার।তার মতে-“প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে দুই লাখ বিশ হাজার টাকা করা, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক তিন শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করা, ১৮টি শিল্পখাতে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া, ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে আবাসন খাত ও শেয়ার বাজারে অপ্রদর্শিত ও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা, খাদ্য ও কৃষি খাতের অগ্রগতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানো ইত্যাদি সুযোগ সুবিধা থাকায় এ বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করা, দারিদ্র বিমোচন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’’
বাজেট সম্পর্কে আইইউবির ছাত্র তাসকিন আলম বলেন-যাতে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, কিভাবে বিনিয়োগ বাড়বে সে দিকে লক্ষ্য রেখে এ বাজেট দেয়া হয়েছে।
বাজেটে জিডিপি বাড়ানোর যে তাগিদ দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হয় তো কঠিন হবে, কিন্তু অসম্ভব হবে না বলে আমি মনে করি। সব মিলিয়ে জনগণের জন্য একটি কল্যাণকর বাজেট হবে বলে আমি মনে করি।