সব মানুষের সেবায় কাজ করবে পুলিশ: বেনজির

Benazir-Ahmed বেনজির আহমেদরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিশেষ শ্রেণির কোন ব্যক্তি নয়, সব মানুষকে সেবা প্রদানে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করবে। এ জন্য পুলিশের সেবার মান আরো উন্নত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের দ্বারা অন্যায়ভাবে কোন মানুষ যাতে খারাপ আচরণের শিকার না হন সেজন্য পুলিশের আচরণ আরো ভালো করার জন্য আমাদের নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি আমরা পুলিশকে জনগণের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া বিভাগ আয়োজিত তথ্য সেবায় পুলিশ সাংবাদিক উন্মুক্ত আলোচনায় তিনি এই আহবান জানান। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন কমিশনার। ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশের স্বার্থে কোন ধরনের তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ, কি প্রকাশ করা উচিৎ না, তা সংবাদকর্মীদের নিজ দায়িত্ববোধ থেকে করা উচিৎ। তিনি দেশ প্রেম ও জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগীতায় এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন শাখা। আলোচনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল জলিল, মারুফ হাসান, মিলি বিশ্বাসসহ ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও ক্র্যাবের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবলু, সেক্রেটারি আবু সালেহ আকন উপস্থিত ছিলেন। কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জাতীয় স্বার্থকে বিবেচনা করতে হবে। যে সংবাদ দেশ ও জাতীর জন্য হুমকি হবে এমন সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সময় গণমাধ্যমকর্মীরা পুলিশের সামনে চলে আসে। যা ওই সময়ে উভয়পক্ষের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু উন্নত রাষ্ট্রে পুলিশের পেছনে থাকে সংবাদ কর্মীরা। আমাদের এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিক পুলিশ একে অপরের পরিপূরক। কিছু কিছু তথ্যের ক্ষেত্রে আমাদের গোপনীয়তা অবলম্বন করতে হয়। দেখা যায় এমন এক হাইপ্রোফাইল ক্রিমিনালের বিরুদ্ধে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাবে। এমন সময় তার নাম পরিচয় যদি গণমাধ্যমে প্রচার হয় তাহলে সে তো আত্নগোপনে চলে যাবে। সে কারণে কিছু ধরাবাঁধা নিয়মের মধ্যে আমাদের চলতে হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে অবাধ তথ্যের যুগ। গণমাধ্যমের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলছে। দ্রুত সংবাদ পরিবেশনের জন্য সবাই তথ্য পেতে উদগ্রিব। পুলিশও তথ্য দিতে আগ্রহী। কিন্তু পুলিশ একটি নিয়মের মধ্যে কাজ করে। সমাজের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গণমাধ্যমকে সেতু বন্ধনের চোখে দেখে পুলিশ। সমাজের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অবশ্যই পুলিশের গণমাধ্যম প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমরা এখনি দাবি করছিনা গণমাধ্যম ও পুলিশের মধ্যে রাতারাতি সব পরিবর্তন হবে। তবে আমরা আশাবাদি পরিবর্তন আসবে। কমিশনার বলেন, পুলিশ এবং সাংবাদিকদের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে। উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে রাজধানীতে ভূয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন কমিশনার বেনজির আহমেদ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ