অবশ্য ইতিহাস গড়তে এই ম্যাচে শুধু জিতলেই হতো না গ্রিকদের, নির্ভর করতে হতো অন্য ম্যাচটির উপর। তবে ওই ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে ৪-১ গোলে জাপান বিধ্বস্ত হওয়ায় হিসেবটা সহজ হয়ে যায় গ্রিসের। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ড ওঠে ইউরোপের দলটি।
তিন ম্যাচের সবকটিতে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাতিন আমেরিকার দল কলম্বিয়া।
দ্বিতীয় রাউন্ডে কলম্বিয়া খেলবে ‘ডি’ গ্রপের রানার্সআপ উরুগুয়ের বিপক্ষে। আর গ্রিসের প্রতিপক্ষ ওই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন কোস্টা রিকা।
সবসময়ে রক্ষণ নির্ভর গ্রিসকে মঙ্গলবার দেখা যায় ভিন্ন রুপে। ফরতালেজার স্তাদিও কাস্তেলাওয়ে ম্যাচের শুরু থেকে বরাবরের মতো নিজেদের রক্ষণ সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টা থাকলেও পাল্টা আক্রমণেও যাচ্ছিল তারা।
৩৩তম মিনিটে নিশ্চিত একটা সুযোগও পায় তারা। কিন্তু গ্রিসের মিডফিল্ডার পানাইওটিস কোনের শটটি ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
তবে প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে আর হতাশ হতে হয়নি গ্রিকদের। মিডফিল্ডার আন্দ্রেয়াস সামারিসের গোলে এগিয়ে যায় তারা।
ফরোয়ার্ড ইয়োরগিওস সামারাসের পাস থেকে গোলটি করেন তিনি।
পিছিয়ে পড়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ম্যাচ ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে আফ্রিকার দলটি। কিন্তু পুরনো রুপে ফিরে যা্ওয়া গ্রিক রক্ষণ ভেদ করতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ৭৪ মিনিট পর্যন্ত।
বাঁ দিক থেকে জার্ভিনিয়োর পাস থেকে দলকে সমতায় ফেরান আরেক ফরোয়ার্ড উইলফ্রেদ বোনি। এই অবস্থায় ম্যাচ শেষ হলে শেষ ষোলোতে উঠতো কোত দি ভোয়া।
কিন্তু ইনজুরি সময়ে গ্রিক ফরোয়ার্ড সামারাসকে কোত দি ভোয়ার ফরোয়ার্ড জিওভান্নি সিও ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ২০০৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। তা থেকে বল জালে জড়িয়ে দলকে নকআউট পর্বের টিকেট পাইয়ে দেন সামারাস।