সুইস ব্যাংককের সঙ্গে এমওইউ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি

bangladesh bank বাংলাদেশ ব্যাংকরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের জন্য বিশেষ চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) মঙ্গলবার এগমন্ড সিকিউরিটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুইস ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে (এফআইইউ) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মু. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত পাচার হওয়া অর্থ কিনা অনুসন্ধান করতে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরে আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) কর্তৃক প্রকাশিত ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৩’ শীর্ষক বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ২০১৩ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশিদের অন্তত ৩৭ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ গচ্ছিত রয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় তিন হাজার ১৬২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার সমান। এই অর্থ ২০১২ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের চেয়ে ৬২ শতাংশ বেশি। ওই বছর সুইস ব্যাংকগুলোয় বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অন্তত ২২ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ জমা ছিল, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৯৫০ কোটি টাকার সমান। অর্থাৎ এক বছরে ব্যাংকটিতে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। মাহফুজুর রহমান বলেন, “ আমরা আগেও একবার সমঝোতা স্বাক্ষরের জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। তখন এমওইউ করা হয়নি। এজন্য আবার ওই দেশের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ড বা অন্য কোনো দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে বা ব্যবসা করে-এমন বাংলাদেশি নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যেকোনো বিদেশি ব্যাংকে টাকা জমা করতে পারেন। সুইস সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো এমওইউ নেই। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেতে হলে আগে এমওইউ স্বাক্ষর করতে হবে। সেটা করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।” সূত্র জানায়, দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বন্ধ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে সহায়তায় তথ্যের আদান-প্রদান করতে গত বছরের জুলাইয়ে এগমন্ট গ্রুপের সদস্য হয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে ১৪৭টি দেশ ওই গ্রুপের সদস্য। বাংলাদেশ এই গ্রুপের সদস্য হওয়ায় এখন সব দেশ থেকে মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন বা টাকা পাচার বিষয়ক যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে। সুইজারল্যান্ড এগমন্ট গ্রুপের সদস্য, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ওই দেশের সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ করা নেই। এ জন্য দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক করতে হবে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ১৭টি দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ