গুলিতে নিহত ১, আহত ১০
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচনে আজ শনিবার কেন্দ্র দখলের সময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার ১ নম্বর তারাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। গুলিতে নিহত ব্যক্তির নাম নির্মল দত্ত বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর কেন্দ্রটিতে ভোট নেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ ১১ বছর পর আজ কাঞ্চন পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে। এ নিয়ে সেখানকার ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উত্সাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছিল। কিন্তু নির্বাচনী সহিংসতায় হতাহতের এই ঘটনা ভোট-উত্সবে ভীতির সঞ্চার করেছে।
ঘটনার বিবরণ ও জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান। তবে তিনি বলেন, ‘এক ভোটার গুলিতে মারা গেছেন।’
নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন ভোটারের দেওয়া ভাষ্য, সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রটির ভেতরে ও বাইরে বিপুলসংখ্যক ভোটার ছিলেন। সাড়ে ১০টার দিকে ভোটকেন্দ্রটি দখল করা নিয়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে নির্মল দত্ত নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই পৌরসভায় ১৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ভোট কক্ষ ৮৩টি। মোট ভোটার ৩১ হাজার ২৪৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৮২২ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৪২৭ জন।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, পুরুষ কাউন্সিলর পদে ৪৩ জন ও নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন অংশ নিচ্ছেন।
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী যুবলীগের নেতা রফিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়ান আবুল বাশার ও আবুল কাশেম মাওলা।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক ভোটের আগে বলেন, ‘এই পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার লক্ষ্যে সাতজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন বিচারিক হাকিম ও ছয়জন নির্বাহী হাকিম রয়েছেন। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকেই বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। আশা করি, ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। কেউ গোলযোগের চেষ্টা করলে তাত্ক্ষণিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’