নালিশের প্রশ্নই ওঠে না: ফখরুল
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ‘দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত’—ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এই মন্তব্য কোনো নালিশ ছিল না বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফখরুল।
গতকাল শুক্রবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত। এরপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বিদেশিদের কাছে কান্না করে দেশের বদনাম করছেন।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নালিশের প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি বিদেশিদের কাছে নালিশে অভ্যস্ত নয়, আওয়ামী লীগের এই ইতিহাস রয়েছে।’
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ২০০৬-০৭ সালে ক্রমাগত বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে নালিশ করেছে আওয়ামী লীগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার আসার অবস্থা তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এ ধরনের কথা বলছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসনের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে। এটি ছিল সম্পূর্ণ সৌজন্যমূলক। এখানে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
গতকাল ওই বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেছিলেন, বৈঠকে বিএনপি বলেছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে কিছু রাজনৈতিক আলোচনাও ওঠে এসেছে। ওই বক্তব্য ছিল ‘স্ট্যাটম্যান্ট অব ফ্যাক্ট’, কোনো নালিশ ছিল না।
ফখরুল জানান, বিএনপির এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা বলেছেন, এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়। বাংলাদেশের জনগণেরই তা সমাধান করা উচিত।
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত তার পাশের দেশে গণতন্ত্র চর্চা হোক, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার আসুক তা আঞ্চলিক সহযোগিতার স্বার্থে চাইবে বলে তাঁরা আশা করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, নারায়ণগঞ্জের উপনির্বাচনের মাধ্যমে আবার প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি ওসমান পরিবারকে ‘প্রটেকশন’ দেবেন, তাহলে কীভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে?
ফখরুল বলেন, শামীম ওসমান যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের জন্য রীতিমতো হুমকি। গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর।