কবি আবুল হোসেন আর নেই
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ শতবর্ষের কাছাকাছি গিয়েও শতবর্ষী হলেন না তিনি। আজ রোববার রাতে ৯২ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রবীণতম কবি আবুল হোসেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছিলেন। আজ রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে স্বজনেরা তাঁকে রাত পৌনে ১১টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিত্সকেরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
রাতে স্কয়ার হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, স্বজনেরা লাশ গোসলের জন্য নিয়ে গেছেন। গোসল দেওয়া শেষে লাশ আবার স্কয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে। কোথায় কখন দাফন করা হবে তার সিদ্ধান্ত আজ রাতে নেওয়া হয়নি।
কবি আবুল হোসেন ছিলেন, গত শতকের ৪০ দশকের বাংলা ভাষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কবি। স্বতন্ত্র কাব্য ভাষায় তিনি বাংলা কাব্যে তাঁর স্থান করে নিয়েছিলেন।
কবি আবুল হোসেনের জন্ম বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার আরুয়াডাঙা গ্রামে ১৯২২ সাালের ১৫ আগস্ট। তাঁর শৈশব কেটেছে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণ নগরে, যৌবন কলকাতায় আর পরবর্তীতে বাংলাদেশে। তিনি কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও পরে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সরকারি চাকরি দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকারের যুগ্মসচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ নববসন্ত প্রকাশিত হয় ১৯৪০ সালে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগন্থের মধ্যে রয়েছে বিরস সংলাপ; হাওয়া, তোমার কি দুঃসাহস; দুঃস্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্নে। এছাড়া তাঁর আত্মজীবনি আমার এই ছোট্ট ভুবনসহ বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
সাহিত্যে অবদান রাখার জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার, জাতীয় কবিতা পুরষ্কার, একুশে পদকসহ বিভিন্ন পুরষ্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।