সাংবাদিককে মারধর করলেন যুবলীগ নেতারা
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ফরিদপুরঃ ফরিদপুরে যুবলীগের নেতারা সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত অবস্থায় সাংবাদিক এম কিউ হুসাইন বুলবুলকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা পরিষদের সামনে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত বুলবুল সালথা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাঙালির খবর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক।
হাসপাতালে চিকিত্সাধীন বুলবুল অভিযোগ করেন, সকালে যুবলীগের স্থানীয় নেতা খায়ের শেখ তাঁর মোবাইলে ফোন দিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে যেতে বলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে গেলে উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন, যুবলীগের নেতা খায়ের শেখ ও সোহেল মাতুব্বরসহ চার-পাঁচজন ব্যক্তি তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে রক্ত ঝরে।
দৈনিক বাঙালির খবর-এর সম্পাদক মো. সেলিম মিয়া বলেন, ২২ জুন ফরিদপুরের দৈনিক বাঙালির খবর পত্রিকায় ‘টেন্ডারবাজিসহ ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তিনি দাবি করেন, এর জের ধরে ওই প্রকৌশলী গত ২৭ জুন সন্ধ্যায় উপজেলা যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাদের নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একটি ‘গোপন সভা’ করেন। পরদিন ২৮ জুন ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সালথা প্রকৌশলীর গুটিবাজি’ শীর্ষক আরেকটি খবর প্রকাশিত হয় বাঙালির খবর পত্রিকায়। এতে সালথা উপজেলা প্রকৌশলী সেকেন্দার আলী ক্ষুব্ধ হয়ে যুবলীগের নেতাদের দিয়ে বুলবুলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তবে উপজেলা প্রকৌশলী সেকেন্দার আলী বলেছেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অভিযোগ করলে তা ভুল বুঝে করেছে। আমি সরকারি কর্মচারী, আমি কেন সাংবাদিক মারতে যাব।’
উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল হোসেন বলেন, ‘বুলবুলের সঙ্গে মাজারদিয়া ইউনিয়নের হরিনা গ্রামের ইমরানের টাকাসংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল। এ বিষয়ে গতকাল সালিস বসে। সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে একজন সালিসদার হিসেবে খায়ের শেখ সেখানে উপস্থিত ছিল।’
এ বিষয়ে মোবাইলে খায়ের শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ ছিল।
সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘যাঁদের নামে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ এসেছে তারা সবাই উপজেলা যুবলীগের নেতা। আমি বিষয়টি জানি না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোতা মিয়া বলেন, ‘আমি শুনেছি যুবলীগ নেতারা ওই সাংবাদিককে মারার পর ওই সাংবাদিক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।’