কোয়াটার ফাইনালে আর্জেন্টিনা-বেলজিয়াম
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ অতিরিক্ত সময়ের শেষদিকে এসে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার করা জয় সূচক গোলেই নিশ্চিত হল আর্জেন্টিনার কোয়ার্টার ফাইনাল। আর এরই সাথে শেষ হয়ে গেলো সুইজারল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান। এর আগে পুরো খেলায় অবশ্য সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনা-সুলভ খেলা খেলতে দেখা গেলো না লিওনেল মেসির দলকে। সাও পাওলোর এরেনা করিন্থিয়াসে পুরো নব্বই মিনিট জুড়েই বার বার চেষ্টা করেও সুইসদের দুর্ভেদ্য দেয়াল ভাঙতে পারেনি দুই বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণের জন্য টাইব্রেকারে গড়াবে এমন একটা ধারণা যখন প্রায় বদ্ধমূল হয়ে গেছে দর্শকদের মনে তখন ১১৭ মিনিটের মাথায় লিওনেল মেসির একটি দুর্দান্ত পাস থেকে বল জালে ঢোকান ডি মারিয়া। ডি মারিয়ার ওই গোলের পর যে কয় মিনিট বাকী ছিল খেলার, তার পুরো সময়টা জুড়েই দেখা গেছে সুইজারল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার চেষ্টা। এমনকি গোলপোস্ট ছেড়ে এসে আর্জেন্টিনার ডি-বক্সে ঢুকে সতীর্থদের সহায়তার চেষ্টা করেন সুইস গোলরক্ষক। মরিয়া সুইজারল্যান্ডের শেষ চেষ্টা হিসেবে একটি কর্নার কিক থেকে হেডও করেন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ব্লেরিম জেমালি। কিন্তু দুর্ভাগ্যই বলতে হবে জেমালির। বারে লেগে বলটি ফিরে আসে। ফিরে আসা বলে আবার পা লাগান জেমালি, কিন্তু এবার বল চলে যায় মাঠের বাইরে। আর এটাই ছিল সুইজারল্যান্ডের ম্যাচে ফেরার শেষ চেষ্টা। শেষ আটে আর্জেন্টিনা গেল বটে, কিন্তু নতুন করে পুরনো প্রশ্ন তুলে দিয়ে। এই আর্জেন্টিনা যে কেবলই মেসি নির্ভরতায় এতদূর চলে এলো। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে আর্জেন্টিনার ছয় গোলের চারটিই মেসির করা। অন্য দুটোর একটি আবার প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী। এই যখন অবস্থা, তখন দ্বিতীয় রাউন্ডের লড়াইয়ে অন্যদের কাছেও ছিল নিজেদের মেলে ধরার প্রত্যাশা। সুইসদের বিপক্ষে সেটি মিটলে তো জয়সূচক গোলের জন্য আবার মেসিরই শরণাপন্ন হতে হয় না! সুন্দর ফুটবলের দাবি মেটাতে না পারা আর্জেন্টিনা ব্রাসিলিয়ায় ৫ই জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বেলজিয়ামের। বিশ্বকাপে এ দু’দলের শেষ দেখা ১৯৮৬ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। যেবার ডিয়েগো ম্যারাডোনার দুই গোলে হার মানা বেলজিয়ানদের সামনে এবার লিওনেল মেসি চ্যালেঞ্জ।
বেলজিয়াম বনাম যুক্তরাষ্ট্র: শুধুই ফল-নির্ভর ফুটবল খেলার জন্য মৃদু সমালোচনা শুনে আসা বেলজিয়ামের কোচ মার্ক উইলমটস এদিন তাঁর দলকে খেলালেন একেবারেই অন্যরকম ফুটবল। যার ফল একের পর এক আক্রমণ। যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টিম হাওয়ার্ডের ১৬টি সেভই বেলজিয়ামের আক্রমণাত্মক মানসিকতা বোঝাতে যথেষ্ট। তবে গোল পাচ্ছিল না বেলজিয়াম। এ বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের বেশিরভাগ গোলই খেলোয়াড় বদলে পাওয়া। সেই তত্ত্ব কাজে দিল এ ম্যাচেও। এজন্য অবশ্য অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল দলটিকে। নব্বই মিনিট শেষে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে বেলজিয়াম গোল করল দুটি, আর যুক্তরাষ্ট্রও বেলজিয়ামের জালে ঢোকাল একটি গোল।