নূর হোসেনকে দিতে রাজি ভারত: মন্ত্রী
রিপোর্টার, এ বিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ
আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ফেরত দিতে মোদী সরকের সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহামুদ আলি।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে এ কথা জানান তিনি।
জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চান নূর হোসেনকে বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা?
জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকালে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত সরকারও তাকে ফেরত দিতে সম্মত হয়েছে।”
১৪ জুন কলকাতার নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিকটবর্তী বাগুইহাটির একটি বাড়ি থেকে নূর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের একটি দল। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন অপহৃত হওয়ার তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।
অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
মামলার পর অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দিলেও অপহৃতদের লাশ উদ্ধারের পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান নূর হোসেন, এক মাসেরও বেশি সময় পর কলকাতায় গ্রেপ্তার হন যিনি।
নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা র্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়ে নজরুলসহ সাতজনকে হত্যা করিয়েছে বলে নিহত কাউন্সিলরের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর তৎকালীন কমান্ডার তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ তিন কর্মকর্তাকে প্রথমে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার এবং পরে সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের দুজন হত্যাকাণ্ডে ‘দোষ স্বীকার’ করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পরিবহন শ্রমিক থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হওয়া নূর হোসেন শীতলক্ষ্যার তীরে অবৈধ বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ব্যবসা চালাতেন। সিদ্ধিরগঞ্জ ট্রাকস্ট্যান্ডে তার কয়েকটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।