প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরো গতিশীল করা হচ্ছে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতি ও সেনাবাহিনী ফোর্সেস গোল -২০৩ ০’ নির্ধারণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ১৭ পদাতিক ডিভিশন নামে একটি পদাতিক ব্রিগেড, ৯৯ সম্মিলিত ব্রিগেড নামে একটি ব্রিগেড, ৩৬০ পদাতিক ব্রিগেড ৪টি পদাতিক ব্যাটালিয়ন, ১টি ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন, ১টি রাডার কন্ট্রোল এডি ইউনিট, ১টি ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার কোম্পানি এবং ১টি ইএমই সেকশন নতুন গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় আগামী ৬ বছরের মধ্যে একটি আর্টিলারি ব্রিগেডসহ ৩৬টি ইউনিট গঠন করা হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামোতে আধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ ও যোগাযোগ সরঞ্জামাদি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা সামগ্রিকভাবে সেনাবাহিনীর চলাচল সক্ষমতা আরও অনেক বৃদ্ধি করবে। মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য সেল্ফ প্রোপেল্ড গান, অত্যাধুনিক অ্যামুনিশন প্ল্যান্ট, চতুর্থ প্রজন্মের এমবিটি-২০০০ মডেলের ট্যাংক, উইপন লোকেটিং রাডার, আর্মার্ড পার্সোনাল ক্যারিয়ার, আর্মার্ড রিকভারি ভেহিক্যাল এবং হেলিকপ্টার ক্রয় সম্পন্ন করেছে, যা নিজস্ব সমরশক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আরও পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। আশরাফুল ইসলাম বলেন, একইভাবে নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রু মোকাবেলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক, অস্ত্র, মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দূষণ রোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে একটি শক্তিশালী নৌশক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রণীত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে ত্রিমাত্রিক যুদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন হেলিকপ্টারবাহী মিসাইল ফ্রিগেট, দ্বিমাত্রিক যুদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন করভেট, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট, অল্প গভীরতায় চলাচলযোগ্য দ্রুতগামী প্যাট্রোল ক্রাফট, যুদ্ধকালীন মাইন ওয়ারফেয়ারের জন্য মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। একইভাবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুচারুভাবে পালনের জন্য বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাংগঠনিক ও ভৌত অবকাঠামো বর্ধিতকরণ, যুগোপযোগী নতুন বিমান, রাডার, সমরাস্ত্র সংযোজন এবং পুরাতন সরঞ্জামাদির আয়ুষ্কাল শেষে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে বিমানবাহিনীর সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনসমূহ পূরণের সার্বিক পরিকল্পনা বর্তমান সরকার গ্রহণ করেছে।’