পত্রিকার কণ্ঠরোধে কালো আইন: রফিকুল

Rofiqul Islam Mia রফিকুল ইসলাম মিয়ারিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে সে জন্য পত্রিকার কণ্ঠরোধ করতে কালো আইন করছে।’ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘সংবাদপত্রের কন্ঠরোধের নতুন অপচেষ্টার’প্রতিবাদে মানবাধিকার কর্মী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সুইস ব্যাংকে কারা টাকা পাচার করছে তা যেন বের করতে না পারে সে জন্যই সরকার এই কালো আইন করতে চাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, কালশীর হত্যাকাণ্ড ও সরকারের দুর্নীতির খবর পত্রিকার মাধ্যমে বের হয়েছে। আর যেন সরকারের কোনো দুর্নীতির খবর বের না হতে পারে সেজন্যই সরকার কালো আইন করছে।’ ১৯৯১ সালে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের আমলে ১৯৭৩ সালের প্রেস অ্যান্ড পাবলিকেশনস আইনের পত্রিকা বন্ধসংক্রান্ত ধারাটি বাতিল করা হয়। বর্তমান সরকার সেই ধারাটি পুনর্বহালের চিন্তা–ভাবনা করছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। দেশে ‘স্বৈরাচার ও বাকশাল’এক হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে এমন কোথায় এমন নজির নেই সংসদে একটি দলের প্রধান, আরেকটি দলের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং তার স্ত্রী সংসদের বিরোধী দলের নেতা। এটা সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী। আর এই সত্য কথাটা এরশাদের ভাই জি এম কাদের বলেছেন।’ রফিকুল বলেন, ‘১৯৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কালো আইন করে চারটি পত্রিকা রেখে বাকি পত্রিকা বন্ধ করে বাকশাল কায়েম করে। শেখ হাসিনা আবার তার বাবার কালো আইন পূনরুজ্জীবিত করছে।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস হলো, ভিন্ন মতকে সহ্য করতে না পারা। আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই নিজেদের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে সে জন্য পত্রিকার কণ্ঠরোধ করেছে।’ সরকারের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয়। সরকার পরিবর্তন হবেই। আপনারাও চিরকাল থাকবেন না। তাই গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন।’ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রফিকুল বলেন, ভয় পেলে চলবে না। বৃহত্তম আন্দোলন করতে হবে। ঈদের পরে বেগম জিয়া যে আন্দোলনে ডাক দিবেন সে আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে যোগ দিতে হবে এবং স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে। অন্যথায় দেশ ও গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ