ফ্রান্সকে হারিয়ে ‘ঠিকানায়’ জার্মানি
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে খেলাটা যেন নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে জার্মানি।মাটসহুমেলসের একমাত্র গোলে ফ্রান্সকে হারিয়ে প্রথমদেশ হিসেবে টানা চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপের শেষচারে পৌঁছেছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা।
১৩তম মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন হুমেলস।
বিশ্বকাপে ত্রয়োদশ বারের মতো জার্মানিকে শেষ চারের মধ্যে রাখায় দারুণ অবদান গোলরক্ষক মানুয়েল নয়ারের। পিছিয়ে পড়ার পর মরিয়া হয়ে উঠা ফরাসিদের অসংখ্য আক্রমণ ঠেকিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের এই তারকা। জার্মানি ১২ বার সেমি-ফাইনালে খেলেছে; আর ১৯৭৪ সালে গ্রুপ পর্ব থেকে সরাসরি ফাইনালে খেলেছে।
শুক্রবার রিও দে জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে সপ্তম মিনিটেই প্রথম সুযোগটি পায় ফ্রান্স। মাথিউ ভালবুয়েনার ক্রস ডি বক্স থেকে বাইরে মারেন অরক্ষিত করিম বেনজেমা।
১৩তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে টনি ক্রুসের ফ্রিকিকে হুমেলসের হেডে ক্রসবারের নিচের দিকে লেগে বল জালে জড়ায়। সঙ্গে লেগে থাকা রাফায়েল ভারানে চেষ্টা করলেও হুমেলসকে ঠেকাতে পারেননি।
ব্রাজিল বিশ্বকাপে হুমেলসের এটি দ্বিতীয় গোল। ফ্লুর কারণে আলজেরিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি এই ডিফেন্ডার।
৩৪তম মিনিটে জার্মানির ত্রাতা মানুয়েল নয়ার। বাঁদিক থেকে একটি ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে বাঁ পায়ে শট নেন ভালবুয়েনা। বাঁ দিকে পড়ে ঠেকিয়ে দেন নয়ার। সেখান থেকে বল পেলেও সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি বেনজেমা।
দশ মিনিট পর আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়নরা। পল পগবার লম্বা ক্রস পেয়ে বাঁ দিক থেকে দুজনকে এড়িয়ে ডি বক্সে ঢুকে সরাসরি নয়ারের দিকে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ফ্রান্সের রক্ষণভাগের ওপর মারাত্মক চাপ তৈরি করে ফ্রান্স। কিন্তু জার্মানির জমাট রক্ষণ ভাঙা সম্ভব হচ্ছিল না। ব্লেইজ মাতুউদি, পগবাদের ক্রসগুলো ডি বক্সে বেনজেমা, আন্তোয়ান গ্রিজমান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছিল না।
এরই মধ্যে ৬০তম মিনিটে সমতা ফেরানোর ভালো একটি সুযোগ পান ভারানে। ডান দিক থেকে মাতুউদির ক্রসে রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারের হেড ফেরান নয়ার।
খেলা শেষ হওয়ার মিনিট বিশেক আগে আক্রমণের ধার বাড়াতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ইয়োহান কাবাইকে তুলে স্ট্রাইকার লোইক রোমিকে নামান দিদিয়ে দেশম। পরে তিনি নামিয়েছিলেন অলিভিয়ে জিরুদকেও।
৭৬তম মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ পান বেনজেমা। ফিলিপ লামকে এড়িয়ে রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকারের বাঁ পায়ের জোরালো শট ‘ব্লক’ করেন হুমেলস। পর মুহূর্তে মাতুউদির শট ঠেকিয়ে আবারো জার্মানির ত্রাতা নয়ার।
৮২তম মিনিটে ম্যচের সহজতম সুযোগটি হাতছাড়া করেন টমাস মুলার। মেসুত ওজিলের ক্রসে পা ছোঁয়ালেই গোল পেতেন মুলার। তিনি তা না পারলেও বল পেয়ে যান আন্দ্রে শুরলে। তার শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে ফরাসিদের খেলায় রাখেন উগো লিওরিস।
ছয় মিনিট পর আবারো ব্যর্থ শুরলে। এবার তার জোরালো শট ঠেকিয়ে ত্রাতা ভারানে।
খেলা শেষ হওয়ায় কয়েক সেকেন্ড আগে দারুণ একটি চেষ্টা করেছিলেন বেনজেমা। বাঁ দিক থেকে তার বাঁ পায়ের শট ডানহাতে ঠেকিয়ে ফ্রান্সের বিদায় নিশ্চিত করেন নয়ার।