‘নির্বাচনের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

ফখরুলরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ঈদের পর আন্দোলন কর্মসূচি জোরদার করতে দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে বিএনপি। পাশাপাশি‘নির্বাচনের’ প্রস্তুতিওনিচ্ছেতারা।

 

দল গোছানোর অংশ হিসাবে সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, “সংগঠনের কার্যক্রম ও কমিটি পুনর্গঠন চলমান একটি প্রক্রিয়া। এটি চলছে। আমরা সংগঠন গোছানোর কাজ করছি। নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছি। সামনে আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতিও চলছে।”

এরই মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ঈদের পর দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার আভাস দিয়েছেন।

ফখরুল বলেন, “বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নয়, জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন তীব্রতর করবো। ঈদের পর আন্দোলনের কর্মসূচি শুরু হবে। আন্দোলন, নির্বাচন প্রস্তুতি ও সংগঠন গোছানো- এই তিন কাজই একই সঙ্গে চলছে।”

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অনুপস্থিত ছিল দলটি। নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণার মধ্যে সে সময় পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল শতাধিক স্কুল, যেগুলো ভোটকেন্দ্র হিসাবে নির্ধারিত ছিল।

শনিবার মিরপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদারকে দেখতে গিয়েছিলেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।

সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি দল গোছানোর বিষয়টিতেই বেশি জোর দেন, যার পাশাপাশি ছিল কর্মীদের ‘উদ্দীপ্ত’ করতে আন্দোলন শুরু করার বিষয়ও।

আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, “দমনপীড়নের মধ্যেও সশস্ত্র শক্তির সঙ্গে নিরস্ত্র জনগণ আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত জনগণের ওপর গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে। সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের আন্দোলন থেমে নেই। ঈদের পর আরো আন্দোলন হবে।”

গত বৃহস্পতিবার সংসদে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা না করতে বিএনপিকে হুঁশিয়ার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঈদের পর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের আন্দোলন মানেই মানুষ মারা, বোমাবাজি- এই অবস্থা বাংলাদেশে চলুক, তা আমরা চাই না। এদেশ আমাদের। দেশ সংবিধান অনুযায়ী চলবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, “সরকারের মন্ত্রীরা বালখিল্যের মতো কথাবার্তা বলছেন। তারা কেউই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হননি। দেশের মানুষ এখন তাদের পদত্যাগ চায়। ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”

এ সময় ফখরুলের সঙ্গে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম মহাসচিব এস এম রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শাইরুল কবীর খান প্রমুখ।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ