আত্মহত্যার চেষ্টা প্যারিস জ্যাকসনের
বিনোদন ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা : প্রয়াত পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন কন্যা প্যারিসের আত্মহত্যা চেষ্ট ছিল পারিবারিক অবহেলার কারণে অভিমান করে। ১৫ বছর বয়সী প্যারিস বলেন, শত ব্যস্ততার মাঝে থাকলেও প্রয়াত পিতাই তাকে সবচেয়ে বেশি বুঝতেন।
অন্যরা তাকে বুঝতে চায় না। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া-চেঁচামেচি করেই মঙ্গলবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন টিনএজ প্যারিস। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এমন ঝগড়ার পর মাংসের ছুরি দিয়ে হাত কেটে ও ২০টির মতো ইবুপ্রোফেন ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা হটলাইনে কল করেন প্যারিস।
তারপর দ্রুত ৯১১ নম্বরে ফোন করে তাকে উদ্ধার করা হয়। এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে সে।
খবরে বলা হয়, প্যারিস মনে করে পরিবারের কেউই তাকে খুব একটা পাত্তা দেয় না। তাকে বুঝতে চায় না। ফলে একাকিত্বে ভোগে সে। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে সবার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন সে বলে পিতা মাইকেল জ্যাকসনই তাকে ভালোভাবে বুঝতো ও জানতো।
পরিবারের সদস্যরা টিনএজ প্যারিসকে ইন্টারনেটে প্রবেশসহ বিভিন্ন বিষয় থেকে দূরে রাখে। সে পছন্দমতো কোন কিছুই করতে পারে না পিতা মাইকেলের মৃত্যুর পর থেকে। এমনকি কথা কাটাকাটির পরও তাকে তার রুমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক খবরে বলা হয়, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সে। আত্মহত্যা চেষ্টার পর পরিবারের সদস্যরা প্যারিসের বিষয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তারা ধারণা করছেন অন্ধকার হয়ে উঠতে পারে পপসম্রাটের বড় মেয়ের জীবন। যেকোন সময় নিজের ক্ষতি করে বসতে পারে সে।
পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসন নিজ সন্তানদেরকে প্রচুর সময় দিতেন তিনি। সন্তানদেরকে অন্যদের চোখ থেকে আড়ালে রেখে তাদেরকে বিভিন্নভাবে আনন্দ ও স্বাধীনতা দেওয়ার চেষ্টা করতেন জ্যাকসন।
২৫ জুন ২০০৯ সালে রহস্যময়ভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন জ্যাকসন। তার মৃত্যুর পর থেকে দাদা-দাদিদের কাছে বড় হচ্ছে সন্তানেরা। এ মাসের ২৫ তারিখে মাইকেল জ্যাকসনের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হবে।