আওয়ামী লীগ এখন ‘পরিত্যক্ত’ রাজনৈতিক দল বলেছেন মির্জা ফখরুল

mirja fakrul islam mirza fakhrul fokrul মির্জা ফখরুল ইসলাম  রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ‘৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ পরিত্যক্ত রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে’ এমন দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমার বুঝে আসে না আওয়ামী লীগের মতো একটি দল তারা রাজনৈতিকভাবে বিরোধী দলকে মোকাবেলা করতে পারছে না। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। সে কারণে দলটির নেতারা অবাস্তব কথা বলছেন। রোববার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর পুলিশি হামলার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

‘খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদ ও রাজকারের সমর্থক। তাই তাকে সরিয়ে দিতে হবে’ সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, খালেদা জিয়ার এতটুকু ক্ষতি হলে তার সব দায় দায়িত্ব তথাকথিত সরকারকে নিতে হবে। ফখরুল বলেন, জয়নুল আবেদিন ফারুকের ওপর হামলা মূলত ব্যক্তি ফারুক নয়, এটা সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ। কারণ যারা এ আক্রমণ করেছিল সরকার তাদেরকে পুরস্কৃত করেছে। এমনকি অনেক টাকা দিয়ে সেসব পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশে ছুটি কাটানোর ব্যবস্থা করেছিল। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সমালোচনা করে তিনি বলেন, যেই হাসানুল হক ইনু গণবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়ে সশস্ত্রভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। সেই ইনু এখন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ৭১ পূর্ববর্তী জাসদের সমালোচনা করে সংসদে মঈনুদ্দিন খান বাদলের দেয়া বক্তব্য তুলে ধরেন ফখরুল।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, দুইদিন আগে তথাকথিত সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিয়ে ভয়ংকর কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদ ও রাজাকারের সমর্থক। তাই তাকে সরিয়ে দিতে হবে। তারা (ইনু) এ কথা বলতে পারেন। কারণ এরাই গণবাহিনী তৈরি করে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন। অনেককে সরিয়েও দিয়েছিলেন। যারা তথাকথিত সরকারে আছেন তাদের বলতে চাই, খালেদা জিয়ার এতটুকু ক্ষতি হলে তার দায়দায়িত্ব আপনাদেরকেই নিতে হবে যোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরাতে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিকল্প নেই এমন মন্তব্য করে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য দেন জয়নুল আবদিন ফারুক, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, এলডিপির নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম, জিনাফ এর সভাপতি লায়ন মিয়া মোঃ আনোয়ার, জিয়া সেনার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী সহ প্রমুখ। পরিচালনা করেন সংগঠনের সহ সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ বাবুল।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ