শামীমকে হত্যা চেষ্টায় আরো তিনজন গ্রেপ্তার
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ আওয়ামী লীগ নেতা একেএম এনামুল হক শামীমকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এদের মধ্যে নূরে আলম সিদ্দিকী নামের এক ব্যক্তিকে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে চিহ্নিত করে গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (পূর্ব) জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেছেন, শামীমকে হত্যার জন্য ছয় লাখ টাকায় অন্যদের সঙ্গে ‘রফা’ হয়েছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছেন তারা।
গ্রেপ্তার বাকি দুজন হলেন- রানা হাওলাদার (২৫) ও নাজিমুল হক মিঠু (৩৯)। এদের মধ্যে রানা মোটরসাইকেল চালিয়ে হামলায় নেতৃত্ব দেন বলে পুলিশের দাবি। হামলায় ব্যবহৃত লাল রঙের একটি মোটরসাইকেলও পুলিশ উদ্ধার করেছে।
জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পল্টনের একটি হোটেলের সামনে থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শেরেবাংলা নগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মিঠুকে। পরে নিউ ইস্কাটনের একটি বাসা থেকে নূরে আলম সিদ্দিকীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম গত ১৯ জুন সকালে অফিস যাওয়ার সময় ধানমণ্ডি এলাকায় হামলার শিকার হন।
হামলাকারীরা তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করলে বাঁ হাতে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শামীমকে প্রথমে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপ কমিশনার জাহাঙ্গীর বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, ওই হামলার মূল পরিকল্পনা করে নূরে আলম। সে ছয় লাখ টাকায় অন্যদের ভাড়া করে।”
ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হারুন, মেহেদী, মনির ও জুয়েল নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
পরে র্যাবের এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে এক অংশীদার শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে তারা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, “হামলার সময় মোটর সাইকেল চালচ্ছিল রানা। তার সঙ্গে ছিল মেহেদী ওরফে বুলেট ও হারুন। গত সোমবার মেহেদী ও হারুনকে র্যাব গ্রেপ্তার করে। আর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিসহ রানা আমাদের হাতে ধরা পড়েছে।”
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য শামীম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অন্যতম পরিচালক। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে তার।
১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা শামীম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের ছেলে শামীম ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জাকসু) ভিপি ছিলেন।