শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন মোশাররফ
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ মুদ্রা পাচার মামলার গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে বিশেষ শর্তে জামিন দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্রঠাকুরের বেঞ্চ বুধবার জামিন সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই আদেশ দেয়।
আদেশে বলা হয়, তাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যাওয়া চলবে না। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি যোগযোগও করতে পারবেন না।
এই রুলের ওপর শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। আর মোশাররফের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
আদালতের আদেশের পর মওদুদ সাংবাদিকদের বলেন, “খন্দকার মোশাররফ একটি মামলাতেই গ্রেপ্তার ছিলেন। এখন আর তার মুক্তি পেতে বাধা নেই। আদেশ অনুযায়ী আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশে যাবেন না।
“যেসব বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি মুদ্রা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ, সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারবেন না।”
২০০১ থেকে ২০০৬ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালে ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পাচারের অভিযোগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে দুদক।
এ মামলায় তিনি হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিলেও আপিল বিভাগ পরে তা বাতিল করে। এরপর গত ১২ মার্চ গুলশানের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর কয়েকবার হাই কোর্টে জামিন চাইলেও আদালত তাকে ফিরিয়ে দেয়। শেষে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিচারপতি নাঈমা হায়াদার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ বিষয়ে একটি রুল দেয়। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাকে নিয়মিত জামিন দেয়া হলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক শিক্ষক খন্দকার মোশাররফের দাবি, মামলায় যে অর্থ পাচারের কথা বলা হয়েছে তা অবৈধভাবে অর্জিত নয়, পাচারও করা হয়নি।
১৯৬৯ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত লন্ডনে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের সময় তিনি যে অর্থ আয় করেছিলেন তা পরে যুক্তরাজ্যের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন। ওই অর্থই এতো বছরে প্রায় সাড়ে ৯ কোটি ডলার হয়েছে বলে তার দাবি।