বেসরকারি বিমানের অ্যারোনটিক্যাল ফি মওকুফ হচ্ছে
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ দেশি বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর জন্য সবরকম অ্যারোনটিক্যাল ফি মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিমানমন্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক খান এ তথ্য জানিয়ে এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “দেশি বিমান সংস্থাগুলোর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এবং এ শিল্পকে বাঁচতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ যে কোনো এয়ারপোর্টে তারা এ সুবিধা পাবেন।”
এভিয়েশনের ভাষায়, একটি বিমান সংস্থাকে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে দু্ই ধরনের ফি দিতে হয়। এর মধ্যে অ্যারোনটিক্যাল ফি নেয়া হয় বিমান ল্যান্ডিং এবং উড্ডয়নের জন্য। অন্যদিকে নন-অ্যারোনটিক্যাল ফি নেয়া হয় পার্কিং এবং হ্যাংগার ব্যাবহারের জন্য।
অবশ্য এ মুহূর্তে বিমান সংস্থাগুলোর জন্য নন-অ্যারোনটিকক্যাল ফি মওকুফ করা হচ্ছে না বলে জানান মন্ত্রী।
বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর জন্য কোনো ভর্তুকি বা বিশেষ প্রণোদনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে এ মুহূর্তে বিশেষ কোনো প্রণোদনা সরকার দিতে পারবে না। তবে অন্যান্য খাতে চাহিদা পূরণ করে পরে এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেয়া যেতে পারে।”
গত দেড় দশকে দেশে কার্যক্রম শুরু করা নয়টি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থার ছয়টিই বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে এসব কোম্পানিকে ‘বিশেষ প্রণোদনা’ দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলো সংশ্লিষ্টরা।
বিমানমন্ত্রী বলেন, “এটা সত্যি যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিমান সংস্থাগুলো বন্ধ হয়েছে। এর পেছনে কিছুটা কারণ ছিলো পরিকল্পনার অভাব, অতীতের সরকারগুলোর নজর না দেওয়া।”
১৯৯৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট নয়টি বিমান সংস্থা ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করলেও বর্তমানে কেবল রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং নভো এয়ার-কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়েল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইন্স ও বেস্ট এয়ার।
এদিকে সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরী বলেন, “সরকার বেসরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোকে প্রচুর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে আসতে হয়। এ বিষয়ে সরকারের একটি শক্তিশালী অবকাঠামো থাকা উচিৎ।”
দেশি সংস্থাগুলোর জন্য নন-অ্যারোনটিক্যাল ফি মওকুফের আহ্বান জানান তিনি।
বিমান পরিচালনা পর্ষদের সাবেক সদস্য এবং এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহেদুল আলম এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন, “বেসরকারি সংস্থাগুলোকে বাঁচাতে চাইলে সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।”
বেসরকারি সংস্থাগুলোকে বাঁচাতে নন-অ্যারোনটিক্যাল ফি মওকুফের পরামর্শ দেন তিনি।