মহাসড়কের খানাখন্দ দেখলেন যোগাযোগমন্ত্রী
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, সীতাকুণ্ডঃ অবশেষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের খানাখন্দে ভরা সীতাকুণ্ড অংশ পরিদর্শন করেছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি খানাখন্দে ভরা কুমিরা বাইপাস পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড নুনমার দীঘিরপাড় এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তিনি সড়ক পথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গেলেও মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের কোথাও নামেননি।
সাংবাদিকদের ব্রিফিং দেওয়ার সময় মন্ত্রী বলেন, খানাখন্দ রেখে জনগণকে যারা শাস্তি দেবে তাদেরও শাস্তি পেতে হবে। তারা প্রকৌশলী হোক আর ঠিকাদার হোক।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে। এ বৃষ্টি হালকাও হবে ভারীও হবে। বৃষ্টিকে ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত করে রাস্তা খারাপ বা ব্যর্থতার অজুহাতের গল্প আমি আর শুনতে চাই না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আগামী ২০ তারিখ একটা টাইম ফ্রেম দিয়েছি। এর মধ্যেই এই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঠিক করতে হবে। আমাদের সড়কের বাকি যে রাস্তাগুলো আছে সারা বাংলাদেশে সাড়ে ২১ হাজার। এ রাস্তাগুলোকে যেকোনো মূল্যে সচল রাখতে হবে। এটা একেবারে সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত যারা হেরফের করবে তারা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবে। তারা যদি ইঞ্জিনিয়ার হন—সেটার জন্য তাদের শাস্তি পেতে হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘চায়নিজ একটি কোম্পানিকে সাতটি প্যাকেজ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা মাঝেমধ্যে কাজ স্লো করে দেয়। এক্সজিস্টিং কাজও তারা করতে চায় না। বাঙালি ঠিকাদার রেজা কন্সট্রাকশন ও তাহের ব্রাদার্স কাজ করে। চায়না কোম্পানি কাজ করছে না। সে জন্য আমাকে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। তাই বিকল্প ঠিকাদার দিয়ে কাজটি করতে হচ্ছে।’
পরিদর্শনের সময় সম্প্রসারিত চার লেনের প্রকল্প পরিচালক ইবনে আলম হাসানসহ সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহম্মদ শাহীন ইমরান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।