অবশেষে দুদকের অভিযোগপত্রে রানা আসামি

Sohel Rana সোহেল রানারিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নকশাবহির্ভূতভাবে সাভারের রানা প্লাজা ভবন নির্মাণের অভিযোগে ‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির’ জন্য দায়ী সোহেল রানাকে অবশেষে অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিষয়টি আজ মঙ্গলবার নিশ্চিত করেন অনুসন্ধান তদারকির দায়িত্বে থাকা উইং কমান্ডার ও দুদকের পরিচালক তাহিদুল ইসলাম। মামলায় অভিযুক্ত অন্য ১৭ জনকেও অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।

দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, চুলচেরা বিশ্লেষণ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাচাই করেই সোহেল রানাকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। মামলার আগে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ মেলেনি। কারণ, রানা প্লাজার নির্মাণসংক্রান্ত কাগজপত্রে রানা প্লাজা ভবনের জায়গা ও ভবনের যৌথ মালিক হচ্ছেন সোহেল রানার বাবা ও মা। তাই ওই সময় সোহেল রানাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিস্তারিত তদন্তে দেখা গেছে, প্রভাব খাটিয়ে রানাই ওই ভবন নির্মাণ করেছেন এবং তিনিই বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে সুবিধাভোগী ছিলেন। তাই তাঁকে অভিযোগপত্রে ‘তদন্ত আগত’ আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অন্য যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে আছেন সোহেল রানার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা বেগম, সাভার পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার মো. আলী, স্থপতি এ কে এম মাসুদ রেজা, পৌরসভা মেয়র রেফায়েত উল্লাহ, সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, রাকিবুল হাসান রাসেল, ফারজানা ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক আবদুল মোত্তালিব, সাবেক সচিব মর্জিনা খান প্রমুখ।

নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণসংক্রান্ত এ ঘটনায় অনুসন্ধান করেছেন দুদকের উপপরিচালক এম এম মফিদুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম। গত ১২ জুন রানাকে বাদ দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক।

গত বছরের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভারে ‘রানা প্লাজা’ নামের নয়তলা ভবনটি ধসে পড়ে। নয় তলা ওই ভবনের তৃতীয় থেকে নবম তলা পর্যন্ত পাঁচটি পোশাক কারখানা ছিল। ভবন ধসে ১১ শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে, যাঁদের বেশির ভাগই নারী পোশাককর্মী।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ