সংসদ বর্জন বন্ধে আইন করার পক্ষে অভিমত
দলীয়ভাবে জাতীয় সংসদ বর্জন বন্ধে আইন করার পক্ষে মত দিয়েছেন এক সংলাপে অংশ নেয়া দর্শক, অতিথি ও সরকার এবং বিরোধী দলের নেতারা।
সংসদ বর্জনের মাধ্যমে একে অকার্যকর করা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার জন্য হুমকি বলেও তাদের অভিমত।
শনিবার রাজশাহীর ডা. কাইছার চৌধুরী মেডিকেল অডিটোরিয়ামে বিবিসি বাংলার বাংলাদেশ সংলাপে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গে উঠে আসে স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে ক্রিকেটার আশারফুলের দণ্ডের প্রসঙ্গটিও।
তাকে আরো গুরুদণ্ড দেয়া যেত বলে মত দেন সংলাপে অংশ নেয়া অধিকাংশ অতিথি।
বিবিসি বাংলা ও বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের যৌথ উদ্যেগে সংলাপের ৩০তম পর্বটি শুরু হয় বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে। ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন বিবিসি বাংলার সাংবাদিক আকবর হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্যানেল সদস্য ছিলেন, রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি নাদিম মোস্তাফা, বাঘা-চারঘাটের সাংসদ মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামাত খান ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুষ্মিতা চক্রবর্তী।
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশন্যাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) তাদের এক অনুষ্ঠানে দলীয়ভাবে সংসদ বর্জনের বিরুদ্ধে আইন প্রনয়ণ করা প্রয়োজন বলে মত দেয়।
এ প্রসঙ্গ দর্শক সারি থেকে প্রশ্নের উত্তরে আইন করার পক্ষে মত দেন সরকার দলীয় সাংসদ শাহরিয়ার আলম ও বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা।
অবশ্য বিএনপির নেতা নাদিম বিরোধী দলের সংসদ বর্জনের জন্য সংসদে সরকারি দলের হাতে বিরোধী দলের এমপিদের অসম্মান ও হেয় করাকে দায়ী করেন।
ক্রিকেটার আশরাফুলকে আরো লঘুদণ্ডের বিষয়ে অধিকাংশ দর্শক মত দিলেও পরস্পর বিরোধী মত দেন বিএনপি নেতা নাদিম ও সাংসদ শাহরিয়ার।
আশরাফুলের ক্ষমা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে তার সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত বলে জানান নাদিম মোস্তফা।
এদিকে সিটিকরপোরেশন নির্বাচনের রাজশাহীর কিছু এলাকায় গ্যাস সংযোগ দেয়ায় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অধিকাংশ দর্শক।