শাস্তি পুনর্বিবেচনার আপিল সাকিবের
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ক্রিকেটে ফেরার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) আপিল করেছেন ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
এর আগে বিসিবি থেকে সাকিবকে আপিল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
গত ৭ জুলাই সাকিবকে সব ধরণের ক্রিকেট থেকে ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবি। এছাড়া আগামী দেড় বছর দেশের বাইরে কোনো প্রতিযোগিতায় খেলার জন্য তাকে অনাপত্তিপত্র না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
রোববার দুপুরে বিসিবি কার্যালয়ে যান সাকিব। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির সভাপতি আকরাম খানের সঙ্গে দেখা করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর কাছে শাস্তি মওকুফের আবেদন জমা দেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সাকিব জানান, বোর্ডের কাছে শাস্তি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন তিনি।
“আমি বিসিবি ও বাংলাদেশ দলের সঙ্গেই বড় হয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট আমার জন্য অনেক বেশি আবেগের জায়গা। আমি সেই অবস্থান থেকেই বোর্ডের কাছে আন্তরিক আবেদন জানাচ্ছি খেলা থেকে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তটি যেন পুনর্বিবেচনা করা হয়।”
সাবেক এই অধিনায়ক জানান, বাংলাদেশ দল তার কাছে সবকিছুর ঊর্ধ্বে। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকার মতো কষ্টের কাজ আর কিছু না থাকায় তার ফেরার এই আবেদন।
“ক্রিকেট আমার জীবন। অনূর্ধ্ব-১৫ পর্য়ায় থেকে আমি বাংলাদেশের এবং বিসিবির লোগো ব্যবহার করে আসছি। এটা আমার জন্য সবচেয়ে গর্বের বিষয়। আমি জাতীয় দলের জন্য আমার সবকিছু উজাড় করে দিয়ে খেলি। ভবিষ্যতেও তাই বাংলাদেশ দলের জন্য আমার সবকিছু উজাড় করে দিব।”
সাকিব স্বীকার করেন, পেশাদার খেলোয়াড় ও বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে অনেক ক্ষেত্রেই তার আচরণ সুশৃঙ্খল ও সংযত ছিল না। ভবিষ্যতে আরও পরিণত আচরণ করার ব্যাপারে নিজের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা জানান এই অলরাউন্ডার।
“আমার কোনো আচরণে বোর্ড এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিব্রত হয়ে থাকলে তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে দর্শক এবং সমর্থক যারা সব সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে আছেন তাদের কাছেও আমি দুঃখপ্রকাশ করছি।”
বিসিবির সিইও নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাকিবের আবেদন পাওয়ার কথা জানান।
“এ বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। এই বিষয়ে এখন বলার মতো কিছু নেই। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তার আবেদন পাঠিয়ে দেব।”
এর আগে গত বুধবার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সঙ্গে দেখা করে শাস্তি কমানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন সাকিব। তখন বোর্ডের চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় হিসেবে তাকে আপিল করতে বলা হয়।