সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের প্রানহানি
মনির হোসেন মিন্টু, সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসিনিউজবিডি
ঢাকা : ঈদের দিন (মঙ্গলবার) সকালে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮ জনের প্রানহানি ঘটেছে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ভোলার লালমোহন উপজেলায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাওয়ার পথে বলাকা পরিবহনের একটি বাস চাটখিল সোনাইমুড়ী সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে ছয়জন নিহত হয়েছেন। ভাঙ্গায় পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় পাঁচজন, সিদ্ধিরগঞ্জে চারজন ও ভোলায় তিনজন নিহত হয়েছেন।
আমাদের আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর…
ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মালিগ্রাম এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে একটি মাইক্রোবাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তাঁদের নাম আল আমিন (২২) ও মো. তরিকুল। আল আমিনের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় ও তরিকুলের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের বলাকৈর গ্রামে। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সকাল নয়টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ভাঙ্গার চুমুরদি ইউনিয়নের বাবলাতলায় কাওড়াকান্দি থেকে টেকেরহাটগামী আরেকটি মাইক্রোবাস রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে মাইক্রোবাস উল্টে মো. জাহিদুল (২৮) নিহত হন। জাহিদুলের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলায়। ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালী: উপজেলার জয়াগ কলেজের সামনে ভোর চারটার দিকে চাটখিল-সোনাইমুড়ী সড়কে যাত্রীবাহী একটি বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি পার্শ্ববর্তী বড় খালে পড়ে যায়। এতে একই পরিবারের তিনজনসহ ছয় যাত্রী নিহত হয়েছেন। বলাকা পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে যাচ্ছিল।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রামগঞ্জের জয়দেবপুর গ্রামের শিরিন আক্তার (২৮), তাঁর ছেলে মো. শাহেদ (১২) ও মেয়ে কোহিনূর বেগম। নিহত অন্য দুজন হলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের মো. খোকন (৩৫) ও রামগঞ্জের চিলকা গ্রামের নূরুল হক (৪৫)।
সকাল সাতটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে নোয়াখালীর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ইলিয়াছ শরিফ এই প্রতিবেদককে বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাস থেকে এ পর্যন্ত দুই শিশুসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারপ্রক্রিয়া এখনো চলছে। বাসটি তোলা হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভোলা: গতকাল চট্টগ্রাম থেকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ভোলার চরফ্যাশনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ভোলা ট্রান্সপোর্ট পরিবহনের একটি বাস। আজ ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে লালমোহন উপজেলার ভোলা-চরফ্যাশন সড়কে একটি অটোরিকশাকে পাশে জায়গা ছেড়ে দিতে গিয়ে বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত হন ১২ জন। তাঁদের চরফ্যাশন ও লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।