মন্ত্রী-এমপিদের তদবিরও শুনিনি : দুদক চেয়ারম্যান
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা : দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেছেন, ‘কর্মকর্তাদের বদলি ও পদায়নে সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের তদবিরও শুনিনি। একজন বিশেষ ব্যক্তির বিষয়ে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও টিআইবির প্রাক্তন সদস্য সুপারিশ করেছেন।’
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতিসংঘ দুর্নীতিবিরোধী সনদ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের পদায়ন ও বদলির ক্ষেত্রে যে স্বচ্ছতা রয়েছে তা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। আমাদের মতো এত স্বচ্ছতা কোথাও আছে বলে জানা নেই। পদায়ন ও বাইরে বদলির ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরনের তদবির করা হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানের এক একটি বিধি-নিষেধ থাকে, দুর্নীতি দমন কমিশনেরও রয়েছে এবং কমিশন সে অনুযায়ী চলে।’
কালো টাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে সব কালো টাকা কালো নয়। সব কালো টাকা অবৈধ অর্জিত হয় না। তবে অবৈধ কোনো টাকার সন্ধান পেলে আমরা অনুসন্ধান করি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিই। আমরা ইতোমধ্যে বাইরের থেকে টাকা ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি।’
দুদক চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘মানি লন্ডারিংয়ের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। লন্ডারিংয়ের যেসব কেইস আছে সেসব কেইস তদন্ত না হওয়ার আগে কাউকে অপরাধী বলা ঠিক না। অপরাধ সাব্যস্ত হলে পত্রিকায় প্রকাশ করা উচিত। কোন পিয়ন কি বলেছে সেটাই কি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। দুদক চেয়ারম্যান থেকে আর কে এই প্রতিষ্ঠানের অথেনটিক।’
টিআইবি ট্রাস্ট্রি বোর্ডের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
এতে বক্তব্য দেন টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, প্রধান তথ্য কমিশনার মো. ফারুক আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, টিআইবির লাইফ মেম্বার এম এস কিবরিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ ডেস্কের মহাপরিচালক সাইদা তাসলিম।