হাসিনার কথায় দেশ চলছে : রফিক
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা : রাষ্ট্রীয় আইনে নয়, শেখ হাসিনার কথায় দেশ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া।
রোববার বিকালে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এই অভিযোগ করে বলেন, ‘‘দেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এখন রাষ্ট্রীয় আইনে দেশ চলছে না। এক ব্যক্তি শেখ হাসিনার কথায় দেশ পরিচালিত হচ্ছে। ফলে দেশে আইনের শাসন নেই। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই।’’
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে তারেক রহমান মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এই সভা হয়।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের অপপ্রচারের সমালোচনা করে সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘‘লন্ডনে এক সভায় তারেক রহমানের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সরকারের ভিত কেঁপে উঠেছে। ওই বক্তব্যের পর আইনপ্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তাকে ইন্টারপুলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারেক রহমান শর্ত ভঙ্গ করেছেন।’’
‘‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ১/১১ সময়ে রিমান্ডে নিয়ে তারেক রহমানের ওপর চরম নির্যাতনে তার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছিলো। চরম অসুস্থতার কারণে উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেছেন।’’
তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসকরা যখনই তাকে দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেবেন, তখনই তিনি দেশে ফিরে আসবেন। রাজনীতি করবেন। তাকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রয়োজন হবে না। কারণ তারেক রহমান পলাতক আসামি নন। তিনি উচ্চ আদালতের জামিনে আছেন।’’
রফিকুল ইসলাম মিয়া অভিযোগ করেন, সরকার জিয়া পরিবারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ওই পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তাকে ষড়যন্ত্র করে অর্থপাচার ও ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘জনগণ সরকারের এসব ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।’’
দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবিও জানান স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেওয়ার আহবান জানিয়ে রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘‘এই দাবি না মানলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে মানতে বাধ্য করা হবে।’’
আবার ১/১১ হলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে- প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘‘এদিকে আপনিসহ আপনার দলের সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সাড়ে ৭ হাজার মামলা রাজনৈতিক মামলার কথা বলে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। পক্ষান্তরে বিএনপির বিরুদ্ধে আরও হাজার হাজার মামলা দিয়েছেন। পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাড়ে ৪ বছর যে দুর্নীতি আপনারা করেছেন, আবার ১/১১ আসলে এজন্য ক্যাঙ্গারু আদালতে আপনাদের বিচার হবে। আর গণতান্ত্রিক সরকার হলে সাধারণ আদালতে এই সরকারের বিচার হবেই।’’
সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রতনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে দলের সহসভাপতি শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, বিরোধীদলীয় নেতার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, যুব দলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাবেক সাংসদ হেলেন জেরিন খান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস সাধারণ সম্পাদক মনির খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।