ধর্মঘট নেই, পোশাক কারখানায়
রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ তোবা গ্রুপের শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির ডাকে আজ শনিবার দেশের সব পোশাক কারখানায় ধর্মঘট পালন করার কথা। তবে দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর, সাভার ও নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি এলাকার পোশাক কারখানায় ধর্মঘট পালনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এসব এলাকার কারখানাগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা জানান, সকাল থেকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভোগড়া, বাসন সড়ক, রাজেন্দ্রপুর, শ্রীপুরের মাওনা, কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক, শফিপুর, চন্দ্রা, গাজীপুর সদরের চান্দনা চৌরাস্তা, লক্ষ্মীপুরা, টঙ্গী ও কোনাবাড়ীর দুটি বিসিক এলাকাসহ আশপাশের সব এলাকার পোশাক কারখানায় স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, গাজীপুরের সব পোশাক কারখানায় কাজ চলছে।
সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া, পলাশবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর, ইউনিক এলাকার পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
আশুলিয়ার বেরন এলাকার পোশাক কারখানা স্টার লিংক ক্রিয়েশনের তত্ত্বাবধায়ক (সুপারভাইজার) আবদুর রহিম বলেন, ‘আজকে ধর্মঘট কি না আমরা জানি না। এ কারণে কোনো প্রস্তুতি নেই।’
আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকার পোশাক কারখানা মেঘলার অ্যাপারেলসের অপারেটর রেজাউল করিম বলেন, ধর্মঘট আগে থেকেই জানি। কিন্তু চাকরি যাওয়ার ভয়ে কারখানায় কাজ করছি।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, ফতুল্লার পোশাক কারখানাগুলোতেও ধর্মঘট পালনের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মোশরেফা মিশু দেশের সব পোশাক কারখানায় আজ শনিবার ধর্মঘটের ডাক দেন। তোবার শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ, দেলোয়ার হোসেনের জামিন বাতিল, শ্রমিকদের ওপর ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি ডাকা হয়। তবে ওই দিনই নৌপরিবহনমন্ত্রী ও গার্মেন্টস শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক শাজাহান খান বলেন, ‘ধর্মঘটের সঙ্গে সমন্বয় পরিষদ নেই।’ এই সমন্বয় পরিষদের অধীনে আছে ৫২টি শ্রমিক সংগঠন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ধর্মঘটের সমর্থনে ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আগামীকাল রোববার জুলাই মাসের বকেয়া বেতন দেওয়ার কথা তোবা কর্তৃপক্ষের। গত বৃহস্পতিবার তোবার মালিক দেলোয়ার হোসেনকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। তবে এ বিষয়ে তোবা গ্রুপের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট কোনো জবাব মেলেনি।