বাংলাদেশের প্রাপ্তি শূন্য সবকিছুই ভারতের
স্পোর্টস ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে সবই ভারতকে বিলিয়ে চলেছেন এন শ্রীনিবাসন! ক্যারিকেচার হোল্ডিংউইলিডটকম-এর সৌজন্যে মাঠের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। ইংল্যান্ড সফরে গিয়ে টানা দুটি টেস্ট হেরেছে ভারত। লজ্জাজনক কিছু রেকর্ড সঙ্গী করে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের সর্বশেষ টেস্টটা ভারত হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। মাইকেল ভনের চোখে যেটি মাত্র দুই দিনেই হার!
উপমহাদেশের বাইরে খেলতে গেলে প্রায়ই তারা শামুকের মতো গুটিয়ে যায়। কিন্তু মাঠে নাকানি-চুবানি খেয়ে চলা ভারত মাঠের বাইরে দোর্দ প্রতাপেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে। মাঠের বাইরের লড়াইয়ে যে প্রায় সবকিছুই জিতে চলেছে ভারত!
২০১০ সালের পর উপমহাদেশের বাইরে খেলতে গিয়ে মাত্র দুটি সিরিজে জয় পেয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। সেটিও দুই নিচু সারির দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। অন্য সবকিছুই শুধু লম্বা করেছে ব্যর্থতার তালিকা। দুই দফায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে হেরেছে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ। ২০১১ ও ২০১২ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশ। এ বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও ভারতকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
নিন্দুকেরা বলে, সম্ভব হলে অ্যাওয়ে সিরিজগুলোও ভারত নিজেদের মাঠেই করত। তবে সেটি সম্ভব না হলেও আগামী বড় তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্ট নিজেদের মাঠেই আয়োজন করতে চলেছে ভারত। ক্রিকেট দলের সাফল্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ারও বিষয় তো আছেই।
আইসিসির ভবিষ্যত্ সফরসূচি অনুযায়ী ২০১৫ সালের পর আইসিসির তিনটি বড় প্রতিযোগিতা এককভাবে আয়োজন করবে ভারত। ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ।
এর আগে উপমহাদেশের কোনো দেশ এককভাবে বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায়নি। ১৯৮৭, ১৯৯৬ ও ২০১১ সালে বিভিন্নভাবে ভারতের সঙ্গী ছিল পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপেও সহ-আয়োজক হওয়ার দেন-দরবার চালিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই প্রস্তাব গ্রাহ্য করেনি ভারত।
আইসিসির চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন বেশ দম্ভের সঙ্গে বলেছেন, ‘এর আগে ভারত ১৬-১৮ বছরে একবার সুযোগ পেত আইসিসির একটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের। আমরা ২০১১ সালে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছি ১৫ বছর পর। আর সেটাও আমাদের ভাগ করে নিতে হয়েছে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে। এখন তিনটা বড় প্রতিযোগিতাই ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আট বছরের মধ্যে। আর এটা খুবই তাত্পর্যপূর্ণ।’
আইসিসি চেয়ারম্যান এখন শ্রীনিবাসন। কিন্তু আইসিসির প্রেসিডেন্ট তো বাংলাদেশেরই। তাতে লাভ হলো কই? আইসিসি সভাপতির ক্ষমতা যে এখন নিতান্তই আলংকারিক, সেটাও যেন স্পষ্ট হয়ে গেল। আবর্তন রীতি অনুযায়ী, ২০৩৫ সালের আগে বাংলাদেশে বিশ্বকাপ আয়োজনের কোনো সম্ভাবনা থাকল না। সেটিও যে বাংলাদেশ পাবে, তার নিশ্চয়তা কই?