সম্প্রচার নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করবে: টিআইবি
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি,
ঢাকা : সম্প্রচার নীতিমালার কিছু অংশ তথ্য অধিকার, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করে দুূর্নীতি বিরোধী আন্তর্জাতিক সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ নীতি একুশ শতকের উপযোগী নয়। তাই নিবর্তনমূলক এ নীতি গ্রহণযোগ্য নয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত জনাকীর্ন এক সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। সম্মেলনে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ বিষয়ে সংগঠনটির অবস্থান তুলে ধরেন টিআইবির পরিচালক (আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন) রিজওয়ান-উল-আলম।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ নীতিমালা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। নীতিমালার ইতিবাচক দিকগুলোকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব নীতি নিয়ে ঝুঁকি রয়েছে, সেগুলোকে অবশ্যই সংশোধন করতে হবে। নীতিমালার বাস্তবায়নে স্বচ্ছ কমিশন করার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘নীতিমালার শর্তগুলোর মাধ্যমে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণমূলক অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এতে দেশ, সরকার ও রাষ্ট্রকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে নীতিমালায় উল্লেখ করা ‘ধারা’ প্রসঙ্গে সুলতানা কামাল বলেন, এ নীতিমালা কার্যকর হলে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আস্থাহীনতা আরও বেড়ে যাবে।
নীতিমালার শর্তগুলোতে ‘অস্পষ্টতার’ কারণে সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে দেওয়া ‘বিপজ্জনক’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।